তিদিনের গতিময় জীবনে কতকিছুই বয়ে চলে ঝড়ের গতিতে। নিত্যদিন ট্রেনে-বাসে যাতায়াত করার সময় কতকিছু ঘটে চোখের সামনে। তার মধ্যে কোনও ঘটনা আমরা মুহুর্তের মধ্যে ভুলে যায়। আবার কোনও ঘটনা মনের স্মৃতিকোঠায় থেকে যায় অনেকদিন পর্যন্ত। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতি
ওয়াশিংটন: প্রতিদিনের গতিময় জীবনে কতকিছুই বয়ে চলে ঝড়ের গতিতে। নিত্যদিন ট্রেনে-বাসে যাতায়াত করার সময় কতকিছু ঘটে চোখের সামনে। তার মধ্যে কোনও ঘটনা আমরা মুহুর্তের মধ্যে ভুলে যায়। আবার কোনও ঘটনা মনের স্মৃতিকোঠায় থেকে যায় অনেকদিন পর্যন্ত। আজকের প্রতিবেদনে তেমনই একটি ঘটনার কথা জানাবো আপনাদের। তবে ঘটনাস্থল আমার আপনার বাড়ির কাছে নয়, বহুদূর।
ট্রেনে-বাসে, মেট্রোয় চড়ার পাশাপাশি দেশ-বিদেশে যেতে আমরা অনেকেই প্লেনে চড়ি। কিন্তু সাধের এই বিমান যাত্রা যে কখনও কখনও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে তা হয়ত স্বপ্নেও ভাবেননি ওই বিমানের যাত্রীরা। ঘটনাস্থল-ফোনিক্স টু অস্টিন। মার্কিন এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে ফোনিক্স থেকে অস্টিন যাচ্ছিলেন একযাত্রী। আর তাঁর অদ্ভুত আচরণে শেষমেষ তাঁকে ছাড়াই বিমান রওনা দেয় গন্তব্যে! এতদূর পড়ে আপনি হয়ত ভাবছেন এটাও আবার সম্ভব নাকি? হ্যাঁ ওই ব্যক্তির সঙ্গে এইরকমই একটা ঘটনা ঘটেছে। কারণ শুনলে অবশ্য কিছুটা অবাক হবেন আপনিও।
ঠিক কী হয়েছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে? (American Airlines)
সূত্রের খবর, ফোনিক্স টু অস্টিনগামী ওই বিমানে চেপে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছিলেন এক ভদ্রলোক। বিমানে ওঠার জন্য বোর্ডিং পাসও হয়েগিয়েছিল। তারপরও তাঁকে রেখেই রওনা দেয় বিমান। কারণ, ওই ভদ্রলোক বিমানের মধ্যে বারবার বাতকর্ম করছিলেন। চরম দুর্গন্ধযুক্ত বাতকর্মের জেরে তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ওই বিমানের বাকি যাত্রীরা। এমনকি তিনি বিমানের বাকি যাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তিনি কেন বারবার এমন কাজ করছেন? তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বাতকর্ম নিয়ন্ত্রণে তিনি অক্ষম। এমনকি দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু ছেড়ে তিনি পাশের সহযাত্রীকে জিজ্ঞেস করতে থাকেন যে, এই গন্ধটা কেমন! আর তাতেই তিতিবিরক্ত হয়ে বিমানের অন্যান্য যাত্রীরা পাইলটের কাছে গিয়ে তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। শেষপর্যন্ত যাত্রীদের দাবি মেনে ওই ব্যক্তিকে বিমান থেকে নামিয়ে তারপর গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয় বিমানটি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।