চিন আর পাকিস্তানের আর্থিক সাহায্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালি। তিনি ক্ষমতায় এলেই আমেরিকার শক্রদেশগুলির আর্থিক সাহায্য বন্ধ হবে বলেও জানিয়েছেন।
ক্ষমতায় আসার আগেই রীতিমত পাকিস্তান আর চিনকে হুঁশিয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নিকি হ্যালির। তিনি ভোট প্রচারে বলেছেন, যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে যেসব দেশগুলি আমেরিকাকে ঘৃণা করে দেই দেশগুলির জন্য বিদেশি সাহায্য কমিয়ে দেবেন। তিনি সরাসরি পাকিস্তান, চিন, ইরাক-সহ বেশ কয়েকটি দেশের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, শক্তিশালী আমেরিকা কখনই খারাপ মানুষের সঙ্গে থাকে থাকে না। তাদের কোনও সাহায্য করে না।
৫১ বছরের বয়সী নিকি হ্যালি দক্ষিণ ক্যারোলিনার দুই বারের মেয়াদ। ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র সংঘের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট প্রচার শুরু করলেন তিনি। তেমনই একটি অনুষ্ঠানে নিকি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার রাজনীতিবিদ বলেছে, 'যে সব দেশ আমাদের ঘৃণা করে তাদের জন্য আমি বিদেশি সাহায্যের কমিয়ে দেব। একটি শক্তিশালী আমেরিকা কখনই খারাপ মানুষদের প্রতিফল দেয় না। গর্বিত আমেরিকা কখনই জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ নষ্ট করে না। ' তিনি আরও বলেন, যেসব নেতারা শত্রুদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে তারাই একমাত্র মার্কিনিদের আস্থার যোগ্য। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা গত বছর চিন, পাকিস্তান , ইরাকের মত দেশগুলিকে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন আমেরিকার করদাতাদের অর্থ কোথায় যাচ্ছে, কীভাবে খরচ করা হচ্ছে তা জানার অধিকারি দেশের মানুষের রয়েছে। তিনি বলেন 'দেশের মানুষ এটা জেনে অবাক হবে যে বেশিরভাগই আমেরিকা বিরোধী দেশে যাচ্ছে অর্থ। আমি রাষ্ট্রপতি হলে এই কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দেব।'
হ্যালির মতে, বিডেন প্রশাসন পাকিস্তানে সামরিক সহায়তা পুনরায় শুরু করেছে, যদিও এটি কমপক্ষে এক ডজন সন্ত্রাসী সংগঠনের আবাসস্থল এবং এর সরকার চীনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। তিনি বলেছিলেন যে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসাবে, তিনি পাকিস্তানকে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা হ্রাস করার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছিলেন কারণ সেই দেশটি আমেরিকান সেনাদের হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের সমর্থন করেছিল।
তিনি বলেন যে অর্থ পাকিস্তান আর চিনকে দেওয়া হচ্ছে সেই টাকায় সেনাবাহিনীকে আরও সুসজ্জিত করা যাবে। করদাতাদের আরও সুবিধে দেওযা যাবে। কিন্তু ট্রাম্পের আমলেও তেমনভাবে ভাবা হয়নি। তিনি বলেন রাষ্ট্রপতি হলে তিনি দেশেক মানুষের পাইপয়সার হিসেব দেবেন। তবে এদিন তিনি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে।বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভাল হলেও ইরাককে ১ বিলিয়ব আর্থ সাহায্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। তিনি আরও বলেন আমেরিকার করদাতারা এখনও কমিউনিস্ট চিনকে পরিবেশ কর্মসূচির জন্য আর্থিক সাহায্য করে। যদিও বর্তমানে চিন আমেরিকার কাছে একটি হুমকি স্বরূপ।