মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গে কি আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে ইউক্রেনের? ট্রাম্পের প্রশ্ন জেলেনস্কিকে

Published : Jul 16, 2025, 11:12 AM IST
মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গে কি আক্রমণ করার ক্ষমতা রয়েছে ইউক্রেনের? ট্রাম্পের প্রশ্ন জেলেনস্কিকে

সংক্ষিপ্ত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। যুদ্ধ না থামলে রাশিয়ার উপর ১০০% নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। ইউক্রেনকে মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গ পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম অস্ত্র দেওয়ার কথাও বলেছেন।

Ukraines capability to strike Moscow : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া যদি ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না করে, তাহলে আমেরিকা ও তার মিত্ররা ১০০% অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ট্রাম্প জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে জানতে চেয়েছেন, মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে সরাসরি আক্রমণ চালাতে পারবেন কি না। জবাবে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বলেছেন, অস্ত্র পেলে অবশ্যই পারবেন।

মস্কো ও সেন্ট পিটার্সবার্গে কি আক্রমণ চালাতে পারবে?

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪ জুলাই ট্রাম্প ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে কথোপকথনে ট্রাম্প জিজ্ঞাসা করেন, মস্কোতে আক্রমণ চালাতে পারবে? সেন্ট পিটার্সবার্গেও? জেলেনস্কি জবাব দেন, অবশ্যই, যদি আপনারা আমাদের সেই অস্ত্র দেন, তাহলে আমরা পারব।

প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর সাহায্যের নতুন পরিকল্পনা

ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র দেবে যাতে তারা রুশ আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে। ন্যাটোর সহযোগীদের সঙ্গে মিলে ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সাহায্য দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প কড়া ভাষায় বলেছেন, পুতিন দিনে মিষ্টি কথা বলেন আর রাতে সবাইকে বোমা মারেন।

পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পর ট্রাম্পের মনোভাব বদল

রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করার মেজাজে নেই। এরপর তিনি ইউক্রেনকে দেওয়া সাহায্য এবং নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কঠোর কৌশল তৈরি করেছেন।

ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়া: শান্তির ইঙ্গিত নয়, যুদ্ধকে আরও উস্কে দেওয়া

ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কিয়েভের শান্তির ইঙ্গিত নয়, বরং যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হবে। রুশ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমেরিকা ও ন্যাটোর এই নীতি আলোচনাকে আরও বিলম্বিত করতে পারে।

৪ বছরেও যুদ্ধ থামেনি, ট্রাম্প এখন 'চাপ' দিতে চান

ট্রাম্প বলেছেন, তার লক্ষ্য রাশিয়ার উপর এতটাই অর্থনৈতিক ও সামরিক চাপ সৃষ্টি করা যাতে তারা আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে। তিনি বলেছেন, শান্তি চুক্তির দিকে ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়কেই বাধ্য করা হবে। ট্রাম্প বলেছেন, 'আমাদের তাদের ব্যথা অনুভব করতে হবে।'

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের
আকাশসীমায় সঙ্ঘাত! পরদিনই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, কী বললেন মাদুরো?