
Trump Reinstates US Travel Ban : আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে ১২ টি দেশের মানুষের আমেরিকায় আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ট্রাম্প বুধবার সন্ধ্যায় এই সংক্রান্ত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন।
এই দেশগুলির মানুষের উপর আমেরিকা ভ্রমণে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা
১-আফগানিস্তান
২- মায়ানমার (বার্মা)
৩- চাদ
৪- কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
৫- ইকুয়েটোরিয়াল গিনি
৬- ইরিত্রিয়া
৭- হাইতি
৮- ইরান
৯- লিবিয়া
১০- সোমালিয়া
১১- সুদান
১২- ইয়েমেন
এই ৭ টি দেশের মানুষের উপর আমেরিকা ভ্রমণে আংশিক নিষেধাজ্ঞা
১- বুরুন্ডি
২- কিউবা
৩- লাওস
৪- সিয়েরা লিওন
৫- টোগো
৬- তুর্কমেনিস্তান
৭- ভেনিজুয়েলা
এই ঘোষণায় কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা, বর্তমান ভিসাধারী, কিছু ভিসা ক্যাটাগরির এবং এমন ব্যক্তিরা আমেরিকা যেতে পারবেন যাদের প্রবেশ আমেরিকান জাতীয় স্বার্থের সাথে সম্পর্কিত।
ডোনাল্ড ট্রাম্প কেন আমেরিকা আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন
ইসরাইল সমর্থক গোষ্ঠীর উপর কলোরাডোতে হামলার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২ টি দেশের মানুষের আমেরিকা আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এর কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করেছেন। কলোরাডোর বোল্ডারে ইহুদি বিরোধী হামলা হয়েছিল। ট্রাম্প এর আগে থেকেই এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য কাজ করছিলেন। তিনি নির্বাচনের সময় এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
নিষেধাজ্ঞা জারির উল্লেখযোগ্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানে তালিবানের নিয়ন্ত্রণ, ইরান এবং কিউবাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ, এবং চাদ ও ইরিত্রিয়ার মতো দেশগুলি থেকে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে থাকা ব্যক্তিদের উচ্চ হার। চাদে B1/B2 ভিসাধারীদের জন্য অতিরিক্ত থাকার হার ছিল ৪৯.৫৪ শতাংশ। ইরিত্রিয়াতে F, M এবং J ভিসাধারীদের মধ্যে অতিরিক্ত থাকার হার ছিল ৫৫.৪৩ শতাংশ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আমরা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করব। কিছু মানুষ এটিকে ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বলে। আমরা কট্টরপন্থী ইসলামি সন্ত্রাসীদের আমাদের দেশ থেকে দূরে রাখব।"
উল্লেখ্য, প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের আমেরিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২১ সালে সেই নীতি বাতিল করেছিলেন।