পরমাণু চুক্তি না হলেই বোমা হামলার মুখে পড়তে হবে, বাড়ানো হবে শুল্ক! ইরানকে ট্রাম্পের হুমকি

Published : Mar 31, 2025, 10:48 AM IST
পরমাণু চুক্তি না হলেই বোমা হামলার মুখে পড়তে হবে, বাড়ানো হবে শুল্ক! ইরানকে ট্রাম্পের হুমকি

সংক্ষিপ্ত

ট্রাম্পের ইরানকে পরমাণু চুক্তির হুমকি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তেহরান পরমাণু চুক্তিতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। 

ট্রাম্পের ইরানকে পরমাণু চুক্তির হুমকি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, যদি তেহরান নতুন পরমাণু চুক্তিতে রাজি না হয়, তাহলে তিনি বোমা হামলা করতে পারেন অথবা সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করতে পারেন। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যদি তারা চুক্তি না করে, তাহলে বোমা হামলা হবে। আমি তাদের উপর সেকেন্ডারি শুল্কও লাগাতে পারি, যেমনটা আমি চার বছর আগে করেছিলাম।

আগেও ট্রাম্প কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন

নিজের প্রথম কার্যকালে (২০১৭-২১) ট্রাম্প ২০১৫ সালের ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি ইরানের উপর কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা (US Sanctions on Iran) পুনরায় জারি করেন।

ইরানের জবাব ও পরমাণু কর্মসূচি

ট্রাম্পের হুমকির সরাসরি প্রতিক্রিয়া ইরান এখনো দেয়নি, তবে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি (Abbas Araqchi) বলেছেন, ট্রাম্পের চিঠির জবাব ওমানের (Oman) মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে, যেখানে ইরানের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুধুমাত্র নাগরিক বিদ্যুতের জন্য।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান, চিন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ব্রিটেন ও আমেরিকা পরমাণু চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির অধীনে ইরানের পরমাণু উন্নয়ন কর্মসূচিকে সীমিত করার বিনিময়ে তাদের উপর থাকা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেন। এরপর ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনার জন্য 'সর্বোচ্চ চাপ' নীতি গ্রহণ করা হয়। আমেরিকা ইরানের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলি পুনরায় জারি করে। 

আমেরিকার বক্তব্য ছিল, ইরানের পরমাণু কার্যক্রম, ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক প্রভাব বন্ধ করার জন্য এই শর্তগুলি যথেষ্ট নয়। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর ইরান কিছুদিন শান্ত থাকার পর ইউরেনিয়াম মজুদ তৈরি করতে শুরু করে এবং তাদের প্রোগ্রাম শুরু করে দেয়। এখন দ্বিতীয়বার ট্রাম্পের ক্ষমতা নেওয়ার পর ইরান ও আমেরিকার সম্পর্ক আবার তিক্ত হতে দেখা যাচ্ছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

অভিভাসন ইস্যুতে বিতর্কে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্স, ভ্যান্সের স্ত্রী-সন্তানকে ভারতে পাঠাবে আমেরিকা?
এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের