
Trump On Beautiful Bill: বহু প্রতীক্ষার অবসান। মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয়ে গেল ট্রাম্পের 'সুন্দর বিল' (Beautiful Bill)। জানা গিয়েছে, আমেরিকার হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসে পাশ হয়ে গিয়েছে বিলটি। এই বিলে স্বাক্ষর করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পরেই এই বিলটি আইনে পরিণত হবে। সূত্রের খবর, ট্রাম্পের এই নয়া বিল আগেই মার্কিন আইনসভার উচ্চ কক্ষে বা হাউস অফ সেনেটে পাশ হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার আমেরিকার আইনসভার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভসেও পাশ হয়ে গেল এই বিল। ট্রাম্প সই করলেই এটি আইনে পরিণত হবে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কিছু ভোটের ব্যবধানে এই বিলটি পাশ হয়। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ২১৮টি এবং বিপক্ষে পড়ে ২১৪টি। ফলে মাত্র চার ভোটের ব্যবধানে আমেরিকায় পাশ হল নয়া এই বিল। যদিও শুরুতেই এই বিলের বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। কারণ, এই বিলের মাধ্যমে ট্রাম্প অভিবাসন নীতি, কর সংস্কার সহ একাধিক বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারেন। যার কারণে প্রথম থেকেই এই বিলের কিছু নীতির বিরোধিতা করেছিলেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের নিজের দল রিপাবলিকান পার্টিরও অনেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তবে ভোটের ফল বলছে, চার ভোটের ব্যবধানে বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আদায় করেছে। অবশ্য, বর্তমানে মার্কিন আইনসভার দুই কক্ষেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ট্রাম্পের দল।
এদিন বিলটি হাউসে পাশ হওয়ার পরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ''সবচেয়ে বড় বিলে সই করতে চলেছি। এটা দেশকে রকেট গতির উন্নতিতে পৌঁছে দেবে। দারুণ ব্যাপার হতে চলেছে।'' এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রায় ৯০০ পাতার বিলটি ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের দফতরে পৌঁছে গিয়েছে। শুক্রবার তাতে স্বাক্ষর করবেন ট্রাম্প। এদিকে ঘটনাচক্রে, শুক্রবারই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। অন্যদিকে, বিলটিতে যেমন কর সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তেমনই প্রতিরক্ষা খাতে, বিশেষ করে অবৈধবাসী হটানোর কাজে বড় অঙ্কের টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। বিল পাশ হওয়ার পর ট্রাম্প নিজেও দাবি করেছেন, আমেরিকার সুরক্ষার জন্য এটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, আপাতত শুল্কসংঘাত কাটিয়ে উঠে সম্প্রতি বেজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলেছে ওয়াশিংটন। তবে ঠাণ্ডা লড়াই শেষ কি আদৌ হয়েছে! হিসেব বলছে, না, সেটা জারি রয়েছে বহাল তবিয়তে। কারণ দিন কয়েক আগেই চিনের সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ -এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সারতে গিয়ে যেন চিনের স্বার্থের কোনও ক্ষতি না-হয়। কিনতু পালটা আমেরিকার তরফে সেভাবে কোনও বিবৃতি না আসলেও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকা সেভাবে মুখ না খুললেও, ঈশান কোণে মেঘ জমছে চিনের। এমনকি ট্রাম্প প্রশাসনের উস্কানিতে চিনের লাল ফৌজে বিদ্রোহের সুর চড়তে পারে, সেদিনও নাকি বেশি দূরে নয়। কারণ ইতিমধ্যেই চিনা লালফৌজের দুই শীর্ষ কমান্ডার এবং এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বাহিনীতে বিদ্রোহের আশঙ্কা থাকায় এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। যদিও তা মানতে নারাজ বেজিং।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।