US China Trade War: ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ, চিনের উপর চাপল ১০৪% শুল্ক!

Published : Apr 09, 2025, 09:09 AM IST
US China Trade War: ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ, চিনের উপর চাপল ১০৪% শুল্ক!

সংক্ষিপ্ত

মার্কিন-চীন শুল্ক যুদ্ধ: ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের উপর ৫০% অতিরিক্ত শুল্ক চাপিয়ে মোট শুল্ক ১০৪%-এ নিয়ে গেছেন। আমেরিকা-চিন বাণিজ্য যুদ্ধে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

US-China Tariff war: ওয়াশিংটন থেকে বেইজিং, বাণিজ্যিক অলিগলিতে আতঙ্ক। বুধবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) চিনের উপর ৫০% অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক (Tariff) চাপিয়ে তাকে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছেন। এই সিদ্ধান্তের পর চিন থেকে আসা পণ্যের উপর মোট মার্কিন ট্যাক্স হার ১০৪% হয়েছে। আমেরিকার এই পদক্ষেপের পর বিশ্বে শুল্ক যুদ্ধ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, যার সরাসরি প্রভাব অর্থনীতির উপর পড়তে পারে এবং এটি মন্দার স্পষ্ট ইঙ্গিত।

২৪ ঘণ্টার সময়সীমা, তারপর হুঙ্কার

মঙ্গলবার, ট্রাম্প চিনকে ২৪ ঘণ্টার চরমপত্র দিয়েছিলেন, হয় আমেরিকাতে চাপানো ৩৪% ট্যাক্স ফেরত নিতে হবে, না হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। বুধবার বেইজিং যখন আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে, তখন হোয়াইট হাউস দ্রুত ঘোষণা করে যে চিন এখন ১০৪% শুল্কের সম্মুখীন হবে।

'আমেরিকাকে লুট করেছে'—ট্রাম্প

ট্রাম্প বলেন যে এতদিন আমেরিকা চিনের উপর মাত্র ১০% শুল্ক চাপাতো, যেখানে চিন মার্কিন পণ্যকে ভারী ট্যাক্সের জালে আটকে রেখেছিল। তিনি বলেন যে চিন আমেরিকাকে লুটেছে, আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করেছে। এই প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প ‘রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ’ নীতি ঘোষণা করেন, যেখানে আমেরিকা সেই দেশগুলোর উপর ততটাই ট্যাক্স চাপাবে, যতটা তারা আমেরিকার উপর চাপায়।

শুল্কের সিঁড়ি: ১০% থেকে ১০৪% পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছল

  1. আগে: চিনের উপর ১০% শুল্ক
  2. তারপর: ৩৪% রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ—মোট ৪৪%
  3. তারপর: ১০% নন-রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ, যা সব দেশের উপর প্রযোজ্য
  4. এখন: ৫০% অতিরিক্ত ট্যাক্স শুধুমাত্র চিনের উপর—মোট ১০৪%

'আমরা কলের জন্য অপেক্ষা করছি'—ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা

ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ লিখেছেন যে চিন বুঝতে পারছে না কীভাবে শুরু করতে হয়, কিন্তু তারা চুক্তি করতে চায়। আমরা তাদের কলের জন্য অপেক্ষা করছি।

বেজিংয়ের মনোভাব: ‘যা করার করো’

চিন আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছিল যে যদি তারা অতিরিক্ত ট্যাক্স চাপায়, তাহলে তারা চুপ করে থাকবে না। তারা পাল্টা শুল্ক চাপানোর জন্য ডব্লিউটিও-তে যাওয়া ও বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিল।

PREV
click me!

Recommended Stories

এই ১৯টি দেশ আমেরিকার নিরাপত্তার বড় চ্যালেঞ্জ! অভিবাসন আবেদন স্থগিত ট্রাম্প প্রশাসনের
আকাশসীমায় সঙ্ঘাত! পরদিনই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা ট্রাম্পের, কী বললেন মাদুরো?