
ChatGPT lecture notes: আজকের ডিজিটাল যুগে যেখানে আर्टিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সর্বত্র জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে AI ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক ছাত্রী দাবি করেছেন যে তার অধ্যাপক ক্লাসের নোটস তৈরিতে ChatGPT-এর মতো AI টুল ব্যবহার করেছেন, যার কারণে তিনি কলেজ থেকে ৬.৮ লক্ষ টাকা (৮,০০০ ডলার) টিউশন ফি ফেরত চেয়েছেন। এই ঘটনাটি এখন মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয়।
AI দিয়ে তৈরি হয়েছিল ক্লাস নোটস
এলা স্ট্যাপলটন নামের এই ছাত্রী জানিয়েছেন যে তার ব্যবসায়িক অধ্যাপকের ক্লাসের সময় কিছু বিষয়ে সন্দেহ হয়েছিল। নোটসে বারবার একই ধরণের ভুল ছিল, কিছু ছবিতে মানুষের অতিরিক্ত অঙ্গ দেখানো হয়েছিল এবং গ্রন্থপঞ্জিতে ChatGPT-এর উল্লেখও ছিল। এখান থেকেই তার নিশ্চিত হয়ে যায় যে এই নোটস মানুষের তৈরি নয়, বরং কোনও AI টুল দিয়ে তৈরি। এলা তৎক্ষণাৎ তার এক বন্ধুকে মেসেজ করে এই বিষয়ে জানায়, যেখানে সে লিখেছিল, তুমি কি ক্যানভাসে দেওয়া নোটস দেখেছ? ওরা ChatGPT দিয়ে তৈরি করেছে! বন্ধুটি উত্তর দিয়েছিল, OMG, সত্যি? এ কী হচ্ছে?
ছাত্রী কলেজে টিউশন ফি ফেরতের দাবি জানিয়েছেন
এলার মনে হয়েছিল যে সে যে স্তরের পড়াশোনা এবং পেশাদার নির্দেশনার আশা করছিল, তা সে পাচ্ছে না, যদিও কলেজের ফি এবং সুনাম অনেক বেশি। তাই সে কলেজের ব্যবসায়িক স্কুলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করে। সে শুধু AI ব্যবহারের কথা বলেনি, অধ্যাপকের পড়ানোর পদ্ধতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে।
নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ফি ফেরতের দাবি খারিজ করেছে
তবে বেশ কয়েকটি বৈঠক এবং শুনানির পর নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এলার টিউশন ফি ফেরতের দাবি খারিজ করে দেয়। অধ্যাপক রিক অ্যারোউড স্বীকার করেছেন যে তিনি ChatGPT, Perplexity AI এবং Gamma-এর মতো AI টুল ব্যবহার করে লেকচার তৈরি করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে তাকে AI দ্বারা তৈরি বিষয়বস্তু আরও সাবধানতার সাথে পরীক্ষা করা উচিত ছিল। তিনি আরও বলেন যে, তার অভিজ্ঞতা থেকে অন্যরা কিছু শিখতে পারলে তিনি খুশি হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের AI নীতি কী বলে?
নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির নীতি অনুসারে, কোনও অনুষদ বা ছাত্র যদি কোনও AI সিস্টেম ব্যবহার করে এবং সেই বিষয়বস্তু কোনও একাডেমিক প্রকাশনা বা কোনও প্রতিষ্ঠানে জমা দেয়, তবে তাকে অবশ্যই AI টুলের উল্লেখ করতে হবে।
AI নিয়ে চলমান বিতর্ক
২০২২ সালে ChatGPT আসার পর থেকেই AI নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক চলছে। যেখানে একদিকে ছাত্ররা এই প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণ করেছে, সেখানে অনেক স্কুল এবং কলেজে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী দিনে শিক্ষাব্যবস্থাকে AI-এর সাথে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে, যাতে স্বচ্ছতা এবং গুণমান উভয়ই বজায় থাকে।