এবার ঘুষ মামলায় আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু শুক্রবার, তা কার্যত খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ আদালত। আগামী ২০ জানুয়ারি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। তবে তার আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় যেন তাঁকে বিপাকে ফেলবে বলেই মনে করছেন অনেকে। এই মামলায় ম্যানহাটনের আদালত অবশ্য আগেই তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দিয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক জুয়ান মার্চেন। এদিকে নির্বাচনে জয়ের পর, মামলা প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন হবু প্রেসিডেন্ট। তাঁর আইনজীবীরা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের কথা তুলেও ধরেন ম্যানহাটনের আদালতে।
সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ অনুযায়ী, আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের অফিশিয়াল কাজকর্মের আইনি রক্ষাকবচের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি এই মামলার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ম্যানহাটন আদালতের বিচারক মার্চেন।
সুপ্রিম কোর্টও শুক্রবার সেই একই কথা জানিয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাজা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও তা কার্যত, খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। কারণ, আমেরিকার আইন অনুযায়ী, এক্ষেত্রে ট্রাম্পের জেলের সাজা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
তবে হ্যাঁ, আর্থিক জরিমানা হতে পারে। বিচারক মার্চেন জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের জেল কিংবা জরিমানা করবেন না। পর্নতারকা স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পর, ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন।
আর সেই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তাঁর ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন বলেও অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে ট্রাম্পের প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেন দাবি করেন, তিনিই ট্রাম্পের হয়ে স্টর্মি এবং অন্য এক মডেল কারেনের কাছে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছিলেন। যদিও ট্রাম্প গোড়া থেকেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
ঠিক সেই সময় ম্যানহাটন ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ সেই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছিলেন। তিনি আবার নিজে ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য। ফলে ‘রাজনৈতিক চক্রান্তের’অভিযোগ তুলেছিল ট্রাম্প শিবির। এদিকে গত ২০১৩ সালের মার্চ মাসে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিল নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি। সেই বছরের এপ্রিল মাসে তাঁকে ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
যদিও সেই গ্রেফতারের পরেই জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রবীণ এই নেতা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।