তালিবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত জানিয়েছে মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের চারটি স্থানে হামলা চালান হয়েছিল।
আফগানিস্তান-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে। সম্প্রতি খবরে বলা হয়েছে, ১৫.০০০ তালিবান পাকিস্তানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাকিস্তান সীমান্ত লক্ষ্য করেই এগিয়ে যাচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। আফগানিস্তানে পাকিস্তানি বিমান হানার পরই তালিবানরা পাকিস্তানের দিকে বদলা নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গিয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে কোনও মূল্যেই এর প্রতিশোধ নেওয়া হবে। পাকিস্তানের বিমান হানায় আফগানিস্তানের প্রায় ৪৬ জনের মধ্যে হয়েছে। নিহতের তালিকায় রয়েছে শিশু ও মহিলারাও। নষ্ট হয়েছে বহু ঘরবাড়ি।
তালিবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত জানিয়েছে মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের চারটি স্থানে হামলা চালান হয়েছিল। পাকিস্তানের এই হামলার পরই তালিবানরা প্রকাশ্যে চ্যলেঞ্জ জানায় পাকিস্তানকে। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পাকিস্তানের এই নিষ্ঠুর কাজের জবাব দেবে আফগানিস্তান। ভূমি ও ভূমির অধিকার রক্ষা করাই আফগান নাগরিকদের প্রথম কর্তব্য বলেও জানিয়েছে তালিবানরা। হামলার প্রতিশোধ নেবে বলেও জানিয়েছে।
তালিবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিশোধ নিতেই ১৫০০০ তালিবান যোদ্ধা কাবুল, কান্দাহার, হেরাত থেকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ সংলগ্ন মির আলি সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
তালিবানদের এই হুমকির পরেই বিপাকে পাকিস্তান। কারণ একটা সময় পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা, জইশ ই মহম্মদ তালিবানদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছিল। তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানে এদের কর্মসূচি চলত। ভারতে জঙ্গি হামলার জন্য এরা দীর্ঘ দিন ধরেই আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে পাক প্রশাসনের সঙ্গে তালিবানদের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে। পাকিস্তানেই একের পর এক হামলা ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান প্রশসনের অনুমান একাধিক হামলার ঘটনায় তালিবানদের যোগ রয়েছে। তবে এবার আর গোপনে নয়। তালিবানরা সরাসরি পাকিস্তানকে বদলার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।