ইজরায়েলের এই শহরটি থেকে যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল গাজা যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। তেমনই জানিয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবী। তিনি আরও বলেছেন, এই শহরের ৩০ হাজার লোকের বাস
ইজরায়েলের গ্রাউন্ড জিরোতে এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধি। তুলে ধরেছেন গাজা সংলগ্ন একটি শহরের অবস্থার কথা। ছবির মত সুন্দর করে সাজান সেই শহর। কিন্তু বর্তমান জনমানবহীন। সরকারি বা সামরিকর গাড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা শহর জুড়ে। এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধিকে এক স্বেচ্ছেসেবী জানিছেন, ৭ অক্টোবরের আগে এই শহরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বাস ছিল। কিন্তু এখন সেখানে নরকের নিঃস্তব্ধতা।
ইজরায়েলের এই শহরটি থেকে যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল গাজা যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ মিনিট। তেমনই জানিয়েছেন এক স্বেচ্ছাসেবী। তিনি আরও বলেছেন, এই শহরের ৩০ হাজার লোকের বাস। প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই শহরেও হামাসের রকেট আছড়ে পড়েছে। কিন্তু গাজার কাছে হওয়ার দরুন এখানে আরন ডোমের নিরাপত্তা ব্যবহার করা হয়নি। তারপরেও নিরাপদে রয়েছে মানুষ। স্থানীদের নিরাপত্তার জন্য তাদের রাতারাতি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আরও বলেছেন গাজার কাছে হওয়ায় এই শহরে আয়রন ডোমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমনভাবে কাজ করত না। তাই স্থানীয়দের নিরাপত্তায় এলাকা খালি করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
স্বেচ্ছাসেবী আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধ কোনও মানুষের ভাল করতে পারে না। তবে শিক্ষার অভাব থেকেই যুদ্ধের মত ঘটনাঘটে। সকলের শিক্ষার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছাসেবী এই পরিস্থিতির জন্য হামাস জঙ্গিদের পুরোপুরি দায়ী করতে রাজি নয়। তিনি বলেছেন, তারা পরিস্থিতির শিকার মাত্র।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইজরায়েল - প্যালেস্টাইন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার। প্রচুর মানুষকে পণবন্দি করা হচ্ছে বলে দুই পক্ষেরই অভিযোগ।