
ফ্রান্স জুড়ে "ব্ল্যাক এভরিথিং" নামে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বাস ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং রাস্তা অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করছে এবং ব্যারিকেড সরিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভ শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ২০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেনেস শহরে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে বিদ্যুৎ লাইন ধ্বংস হওয়ায় রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। সারা দেশে ৮০,০০০-এরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটাইলু জানিয়েছেন, হিংসাত্মক ঘটনা ছড়িয়ে পড়া রুখতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এই বিক্ষোভের জেরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত বদলেছে। অবিশ্বাস্য প্রস্তাবে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন ফ্রাঁসোয়া বেরু। তার জায়গায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন।
৩৯ বছর বয়সী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু ফ্রান্সের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। এখন তিনি দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ২০৩০ সালের মধ্যে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ লেকর্নুকে এখন দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা নব-নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী লেকর্নুর উপরও চাপ সৃষ্টি করছে। তবে তিনি জনগণের ক্ষোভ বোঝার আশ্বাস দিয়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও, বিক্ষোভকারীদের আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তার কারণে ফ্রান্সে উত্তেজনা বিরাজ করছে।