
Nepal Protest: গণ-বিক্ষোভের আঁচ উপলব্ধি করতে পেরেই বাসভবন ছেড়ে পালান নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এবার অজ্ঞাতবাস থেকে দিলেন বড় বার্তা। তবে লুকিয়ে লুকিয়ে।
গদি হারিয়ে সেই দেশের বিপর্যস্ত নেতা এবার সরাসরি দায়ী করে বসলেন ভারতকে। ওলি দাবি করেছেন, একাধিক সংবেদনশীল ইস্যুতে দিল্লীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। আর সেই কারণেই, তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরতে বাধ্য করা হল।
সূত্রের খবর, নেপাল সেনার আশ্রয়ে তিনি এখন শিবপুরি ব্যারাকে রয়েছেন। সেখানে বসেই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর উপর ভারতের ক্ষুব্ধ হওয়ার প্রধান কারণ হল, লিপুলেখ বিতর্ক। যে এলাকাকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করছে দিল্লী, তা আসলে নেপালের। তবে সেটাই শুধু নয়, অযোধ্যাতে রাম মন্দির উদ্বোধনের সময়, ওলি দাবি করে বসেন যে, রাম আসলে নেপালের মানুষ ছিলেন। তাঁর কথায়, "ভগবান রামের রাজ্য অযোধ্যা আসলে নেপালের বীরগঞ্জের পশ্চিমদিকে অবস্থিত। ভারত একটি বিতর্কিত অযোধ্যা তৈরি করেছে।” তবে ওলির সেই দাবিকে কার্যত, নস্যাৎ করে দেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা।
তাই একাধিকবার ভারতের বিরোধিতাই তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানোর অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন কেপি শর্মা ওলি। তাঁর কথায়, “অযোধ্যায় রামের জন্মস্থান নিয়ে বিরোধিতা করায় আমি ক্ষমতা হারিয়েছি।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে ওলি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে নেপালের তরুণ প্রজন্ম। অবস্থা বেগতিক বুঝে মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন কেপি শর্মা ওলি। সরকারের উপর দেশের তরুণ সমাজ এতটাই ক্ষুব্ধ যে, এখনও অশান্তি হয়ে আছে পড়শি দেশ। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর, নেপালের ক্ষমতা আপাতত সেনার হাতে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।