ট্রুডোর মন্তব্যের পর, কানাডা এবং ভারত উভয়ই একে অপরের দেশের দূতাবাস থেকে ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। কানাডা এই বিতর্কের অন্দরে এবার আমেরিকার সমর্থন চেয়েছে বলে জানা গেছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডা ভ্যাঙ্কুভারে হত্যা করা হয়েছিল শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর-কে, এই হত্যার নেপথ্যে ভারতের সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সারা বিশ্ব জুড়ে একটি বিরাট কূটনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। সম্প্রতি ভারতে আয়োজিত জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। ট্রুডোর মন্তব্যের পর, কানাডা এবং ভারত উভয়ই একে অপরের দেশের দূতাবাস থেকে ঊর্ধ্বতন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। কানাডা এই বিতর্কের অন্দরে এবার আমেরিকার সমর্থন চেয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, বাইডেন প্রশাসন কানাডাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বটে, কিন্তু অপরদিকে ভারতের বিরোধিতা করার বিষয়েও আমেরিকা যথেষ্ট সতর্ক বলে মনে হচ্ছে। আমেরিকার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, হরদীপ সিং নিজ্জরের (Hardeep Singh Nijjar) সমস্যা সম্পর্কে বাইডেন সরকার অবগত। তিনি ২০ বছর ভারতের নাগরিক ছিলেন। প্রথম জীবনে একজন প্লাম্বার (পাইপ-মিস্ত্রি) ছিলেন, যিনি পরবর্তীকালে বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’-এ যোগ দিয়ে একজন রাজনৈতিক কর্মী হয়ে ওঠেন। (বিস্তারিত পড়ুন- কানাডায় গুলি লেগে নিহত খালিস্তানপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার)।
আমেরিকান প্রশাসনের বহু নেতাদের মতে, কানাডায় বসবাসকারী ভারত-বিরোধী খালিস্তানপন্থী শিখরা কানাডার আসন্ন নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এই গোষ্ঠীর ভোটদাতারা জেলাগুলিতে খুবই প্রভাবশালী। ট্রুডো হয়তো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতেই এইসমস্ত ভোটদাতাদের সন্তুষ্ট করার জন্য ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক যথেষ্ট নিবিড়। একজন কানাডিয়ান রাজনীতিকের রাজনৈতিক লাভের জন্য আমেরিকা ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি নয় বলেই মনে করছেন জো বাইডেন (Joe Biden)।