চীন হাইড্রোজেন ভিত্তিক নতুন অস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এটি পারমাণবিক অস্ত্র না হলেও, ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন এবং ভবিষ্যৎ যুদ্ধে ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি করেছে এই পরীক্ষা।
চিন পারমাণবিক-অস্ত্র নয় এমন নতুন অস্ত্র হিসেবে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করেছে। চিনা সরকারি জাহাজ নির্মাণ সংস্থা (CSSC) দ্বারা তৈরি এই অস্ত্রটি ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রাইড নামক হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ পদার্থ ব্যবহার করে বিশাল আগুনের গোলা তৈরি করে। চিনের এই হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘন বলে সমালোচনা উঠেছে।
28
১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ:
এই বোমাটি পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজন ছাড়াই ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপ উৎপন্ন করতে সক্ষম।
38
এই তাপ দুই সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয় এবং এটি প্রচলিত বিস্ফোরকের চেয়ে অনেক বেশি। মাত্র ২ কিলোগ্রাম ওজনের হলেও, এটি মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করতে পারে।
সামরিক সম্পদ এবং অবকাঠামোর উপর সুনির্দিষ্ট আক্রমণ চালাতে এটি উপযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
58
চিনের অস্ত্র:
হাইড্রোজেনকে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করে চিন পরবর্তী প্রজন্মের সামরিক উদ্ভাবনের প্রতি তার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। এছাড়াও মিথেনচালিত ইঞ্জিন, হাইপারসনিক সিস্টেমের মতো বিকল্প অস্ত্র প্রযুক্তিতেও চিন মনোযোগ দিচ্ছে।
68
ভবিষ্যৎ যুদ্ধ নিয়ে আশঙ্কা:
পারমাণবিক অস্ত্রের বোঝা ছাড়াই এই অস্ত্রটি আরও বেশি ধ্বংসাত্মক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের এই পরীক্ষা ভবিষ্যতে যুদ্ধে হাইড্রোজেন বোমা ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষ করে পারমাণবিক চুক্তি উপেক্ষা করে।
78
প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বেগ:
তাইওয়ানের মতো অঞ্চলে এবং ভারত-চীন সীমান্তে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে, চীনের নতুন হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
88
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে তাদের নিরাপত্তা প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলি পুনর্বিবেচনা করতে হবে।