চিনা দূতাবাসের সতর্কতা, চিনা-বাংলাদেশী বিয়ের স্ক্যামে মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন

Published : Jun 11, 2025, 10:08 PM IST
China is now eyeing donkeys in Pakistan prices are rising sharply

সংক্ষিপ্ত

চিনে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা অনেক কম থাকায় বিদেশ থেকে বউ আনার প্রবণতা বেড়েছে। এই সুযোগে বাংলাদেশি মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে চিনে পাচার করা হচ্ছে। চিন সরকার এ ব্যাপারে সতর্ক করেছে।

চিনে নাকি বিয়ের জন্য মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই বিদেশী বউ কিনে আনার বাড়ছে প্রবণতা। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপারটা স্ক্যামের পর্যায়ে থাকে, আবার অনেক ক্ষেত্রে মোটা টাকার বিনিময়ে চিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশি মেয়েদের। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে অবস্থিত চিনের দূতাবাস এবছর ২৫ মে এক ঘোষণায় চিনা নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, তারা যেন বাংলাদেশি নারীদের বিয়ে না করেন।

প্রসঙ্গত, চিনের এই সংকটের মূল শুরু ১৯৮০ দশকে। সে সময় ‘এক সন্তান নীতি’ ও ভ্রূণ নির্ধারণ প্রযুক্তির অপব্যবহার শুরু হয়। পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেওয়ায় বিপুল সংখ্যক কন্যা সন্তান গর্ভে নষ্ট করা হয়। ফলে কয়েক দশকের ব্যবধানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা মারাত্মক বেড়ে যায়। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, চিনে প্রতি ১,০০০ নারীর বিপরীতে ১,১৩০ জন পুরুষ রয়েছে, ফলে পুরুষ ও নারীদের মধ্যে পার্থক্য টা প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি। এখন এই সময়ের ছেলেরা বিয়ের উপযুক্ত হলেও দেশে মেয়ের সংখ্যা কম থাকায় তারা বিয়ের সুযোগ পাচ্ছেন না। ফলে স্বভাবতই বিদেশী মেয়ে খোঁজার প্রবণতা বেড়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশে এই সময় পুরুষ প্রতি মেয়েদের সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে ১০০ মেয়ে প্রতি পুরুষের সংখ্যা ৯৮। আর এই ব্যাপারটাকে কাজে লাগিয়ে একটা গোটা ব্যবসা গড়ে উঠেছে দুই দেশের মধ্যে। উন্নত জীবন ও ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশী তরুণীদের চিনে নিয়ে গিয়ে তাদের পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। এসব তরুণীদের অনেককেই ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করা হয়। মূল্য নির্ধারণ হয় মেয়েটির বয়স, চেহারা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী। এরপর তাদের জোর করে চিনের কোনো অবিবাহিত কৃষক বা শ্রমজীবী পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়।

চিনা সরকার জাই জিনপিং বলেছেন, আর যাই করুন ‘বিদেশি বউ কিনবেন না’। এছাড়াও চিনা দূতাবাস বাংলাদেশী নারীদের বিয়ে করা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে, সতর্ক করেছে। চিনের আইন অনুসারে কোনো বিবাহ সংস্থা আন্ত সীমান্ত বিয়ের মত কোনো পরিষেবায় জড়িত হতে পারে না। কোনো ব্যক্তিকে প্রতারণার মাধ্যমে কোন লোভের জন্য এই জাতীয় কার্যকলাপ বা গোপনে এই ধরণের কার্যকলাপ করার অনুমতি নেই। কেউ যদি এই চক্রের শিকার হন, তাহলে তাদের অবশ্যই চিনের জন নিরাপত্তা অধিকারী কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। চীন ও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে উদ্যোগে, অবৈধ আন্তঃসীমান্ত বিবাহে জড়িতদের মানুষ পাচারের সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়ে থাকে।

সারাংশ

নাগরিকদের বিদেশী বউ কিনতে সাবধান করছে চিনা সরকার। সীমান্ত টোপকে প্রেম বা বিয়ের এত জড়িত কোন চক্রান্তের কথা জানতে পারলে হতে পারে হাজতবাসও, দিতে হবে জরিমানা।

 

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, নতুন করে ভূমিধসের সতর্কতা জারি
ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া: শ্রীলঙ্কায় হাজার অসুস্থের চিকিৎসায় ভারতীয় সেনা, চলছে সেতু নির্মাণ