Published : Jul 04, 2025, 03:06 PM ISTUpdated : Jul 04, 2025, 04:41 PM IST
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই এমন পথে হাঁটতে চলছে চিন। যদিও প্রকল্পের কথা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু পরিকল্পনা সব পাকা হয়েছে।
সন্তানের জন্ম দিলেই হাতেহাতে কড়কড় নগদ অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। তাও আবার এক বছর নয়, টানা তিন বছর অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
210
সরকারের এই উদ্যোগের কারণ একটাই। তাহল দেশের জন্মের হার বাড়ানো। আর সেই কারণেই দম্পতিকে উৎসাহিতে করতেই আর্থিক সাহয্যের কথা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
310
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই এমন পথে হাঁটতে চলছে চিন। যদিও প্রকল্পের কথা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু পরিকল্পনা সব পাকা হয়েছে।
বেজিং-এর এক উচ্চপদস্থ সরকরি কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, শি জিংপিং জন্মদানে উৎসহ দিতে একটি বড় প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারে।
510
দীর্ঘ দিন ঘরেই জনসংখ্যা হ্রাসের সমস্যায় ভুগছে চিন। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। আবার বর্তমান দম্পতিরা সন্তানের জন্মদান ও পালনে উৎসহ হারিয়েছেন। তারা সঞ্চয়তেই মনোযোগী।
610
এই পরিস্থিতি কাটাতে সন্তানের জন্মদানে উৎসহ দিতেই ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা শি জিংপিং সরকারের। তাই চিন সরকার দম্পতিতে প্রতি সন্তান পিছি ৩৬০০ ইউয়ান অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকা বছরে দিতে উদ্যোগী হয়েছে।
710
চলতি বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে যাদের জন্ম, তাদের বাবা ও মা আগামী তিন বছর পর্যন্ত ভর্তুকির টাকা পাবেন। এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় দিন গুণছে।
810
একটা সময় জনসংখ্যা বেশি থাকায় সমস্যা ছিল চিনে। তাই এক সন্তান নীতি কার্যকর করা হয়েছিল। যদিও ২০১৬ সাল থেকে এক সন্তান নীতি উঠে যায়। কিন্তু তারপরই বর্তমানে জনসংখ্যা হ্রাস নতুন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনে।
910
২০১৬ সালে চিন জন্ম হয়েছিল ১ কোটি ৮৮ লক্ষ মানুষের। কিন্তু ২০২৪ সালে তা কমে হয়েছে ৯৫ লক্ষ।
1010
২০২৩ সালে বিশ্বের জনবহুল দেশের তকমা হারিয়েছে চিন। চিনকে চপকে শীর্ষে পৌঁছেছে ভারত। এই অবস্থায় চিন দেশের কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়াতে জন্মের হার বৃদ্ধিতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে।