
যুদ্ধের মধ্যেই ইরানে ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল তেহরান-সহ বহু এলাকা। ভারতীয় সময় শুক্রবার রাতে রিখটা স্কেলে ৫.১ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাজধানী তেহরান-সহ ইরানের বহু জায়গার মানুষ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে। যদিও ইজরায়েলি হানার কারণে নাগরিকদের যথাসম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, এমন প্রকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে তারা বেরিয়ে আসে। জানা যায় ইরানের কোম শহরে ভূমিকম্প হয়। তবে, আপাতত কোনও বড় ক্ষতির খবর আসেনি।
ইসরায়েলের একের পর এক বিমান হামলার মধ্যে এল ভূমিকম্প। ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি (৬ মাইল) গভীর এবং ইরানের সেমনান শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিমি (২৩ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে সংঘটিত হয় বলে খবর। জানা গিয়েছে, ইরানের কোম প্রদেশে অবস্থিত ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর প্রভাব তেহরান পর্যন্ত পৌঁছায়। উপকেন্দ্র ছিল সেমনান শহর। এই তেহরান থেকে প্রায় ১৪৫ মাইল পূর্বে। কম্পনের তীব্রতা হালকা ছিল বলে সে অর্থে ক্ষয়ক্ষতির খবর হয়নি।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েলি হামলার সমালোচনা করে ইরানকে সমর্থন করে ইয়েমেন, তুরস্ক, লেবানন এবং ইরাক। এর আগেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। এক সাবেক ইজরায়েলি মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁদের পরবর্তী টার্গেট পাক পরমাণ বোম উৎপাদন প্রকল্প।
এদিকে আবার ইরানের হয়ে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে পারে তুরস্ক। তারা অপেক্ষা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প। তিনদিন আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, দুই-তিন সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত নেবে আমেরিকা যুদ্ধে জড়াবে কি না।
এদিকে, বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ ইরান। আরব ও ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘাতে তৈরি আলপাইন-হিমালয়ান বেল্টে অবস্থিত হওয়ায় প্রায়ই ভূমম্পনের শিকার হয় দেশটি। গড় হিসেবে প্রতি বছর ইরানে প্রায় ২১০০ টি ভূমিকম্প ঘটে, যার মধ্যে ১৫-১৬টি ৫.০ মাত্রার বেশি হয়ে থাকে।
১৯ জুন রজাভি খোরাসান প্রদেশের কাশমার শহরের কাছে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং ১৭ জুন বুশেহর প্রদেশের বোরাজজান শহরের কাছে আরও একটি একই মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।