আফগানিস্তানে পরের পর ভূমিকম্প! নাজেহাল প্রতিবেশী দেশের জনজীবন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টার জানিয়েছে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা ৮ মিনিটে আফগানিস্তানে ৩৬.৫১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭০.৯৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ১৮০ কিলোমিটার গভীরে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল মাঝারি। আফগানিস্তানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
৪ ফেব্রুয়ারিও ভূমিকম্প হয়েছিল। এর মাত্র কয়েকদিন আগে একই এলাকায় ৪ দশমিক ৩ ও ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছিল। ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি ০১:৪২:১৮ আইএসটিতে ১০ কিলোমিটার গভীরতায় আঘাত হানে, এবং ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১৪:৫৮:৪৮ আইএসটিতে ১০ কিলোমিটার গভীরতায় আঘাত হানে।
ভূমি কম্পনের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে এই ভূমিকম্পগুলি সাধারণত আরও বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এনসিএস জানিয়েছে, আফগানিস্তানে গত ৩০ দিনে ১৩টি ভূমিকম্প হয়েছে।
সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয়েছিল ২০২৩ সালের অক্টোবরে
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে হেরাতের নিকটবর্তী গ্রামগুলো বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়। আগে থেকেই চিকিৎসা সুবিধার বেহাল দশা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
জেনে নিন আফগানিস্তানে কেন ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়। আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের প্রধান কারণ এর ভৌগোলিক অবস্থান এবং টেকটোনিক প্লেটের সক্রিয়তা। দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত আফগানিস্তান ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় পড়ে। এই অঞ্চলটি আলপাইন-হিমালয় বেল্টের অংশ, যা বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। এখানে ভূমিকম্প হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
আফগানিস্তানে অনেকগুলি সক্রিয় ফল্ট লাইন (ভূতাত্ত্বিক ফাটল) রয়েছে। যখন এই ফল্ট লাইন বরাবর আন্দোলন হয়, ভূমিকম্প হয়। চমন ফল্ট এবং হেরাত ফল্টের মতো প্রধান ফল্ট লাইনগুলি এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপ ঘটায়। আফগানিস্তানের ভূতাত্ত্বিক কাঠামো খুবই জটিল। এখানে অনেক পাহাড়ি ও পার্বত্য এলাকা রয়েছে, যা ভূমিকম্পের জন্য বেশি সংবেদনশীল। আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পত্তির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়, কারণ নির্মাণ মান দুর্বল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা সীমিত।