Breaking News: আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ এলাকায় ভূমিকম্প, তীব্র ভূকম্পন ভারত-পাকিস্তানেও

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬ ম্যাগনিচিউড। যার প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

Web Desk - ANB | Published : Mar 21, 2023 5:35 PM IST / Updated: Mar 21 2023, 11:11 PM IST

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৬ ম্যাগনিচিউড। যার প্রভাব পড়েছে উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ন্যাশানাল সেন্টার ফর সিসমোলজি অনুসারে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৬ । আফগানিস্তানের ফয়জাবাদের ১৩৩ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১৭ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।

আফগানিস্তানে এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে এই দেশেও। দিল্লি-এনআরসি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ভারতীয় সময় রাত ১০টা ২০ মিনিটে কম্পনের কারণে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে হরিয়ানা , পঞ্জাব ও রাজস্থানে। এলাকার মানুষ রাতের বেলাই আতঙ্কের কারণে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে। তবে এখনও পর্যন্ত তেমন বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খরব পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানে মঙ্গলবার রাতে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮। যার কারণে রাজধানী ইসলামাবাদ ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আতঙ্কে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য দেয়নি পাকিস্তান প্রশাসন। ২০০৫ সালে পাকিস্তানে ৭.৫ মাত্রের কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ভূকম্পনের কারণে সেই সময় প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

 

গত বৃহস্পতিবারই আবারও প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১ ম্যাগনিচিউড। ভূমিকম্পের পরই সুনামির সতর্কতা জারি করেছে নিউজিল্যান্ড প্রশাসন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কেরমাডেক দ্বীপপুঞ্জের ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের প্রভাব পড়েছে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকা জুড়ে। ৩০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে ন্যাশানাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অবশ্য জানিয়েছে ভূমিকম্পের পর সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।

নিউজিল্যান্ড এমনিতেই ভূমিকম্প প্রবণ দেশে। এটি বিশ্বের দুটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত- প্যাসিফিক প্লেট ও অস্ট্রেলিয়ান প্লেট। এটিরিং অফ ফায়ার নামে পরিচিত তীব্র ভূমিকম্পের ক্রিয়াকলাপের একটি অঞ্চেলের প্রান্ত রয়েছে এই দেশের মধ্য। প্রতিবছরই এই দেশের কয়েক হাজারবার ভূমিকম্প হয়। যারমধ্যে কোনও কোনওটি ভয়ঙ্কর আকার নেয়।

অন্যদিকে রাতের অন্ধকারে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা। ন্যাশানাল সেন্টার অব সিসমোলজি অনুসারে রাত ২৩টা ৪৯ মিনিটে ভূমিকম্প হয় । কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.২। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তান।

 

বিস্তারিত আসছে...

Share this article
click me!