
ফ্রান্সে ‘ফেতে দে লা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল’-এ হল সিরিঞ্জ হামলা। এই উৎসবে ভয়াবহ জিহাদি হামলায় আহত প্রায় ১৫০। উৎসবে যোগ দেওয়া শ্রোতাদের ওপর একদল মুসলিম যুবক হামলা চালায়। হামলায় বিশেষভাবে নিশানা করা হয় উৎসবে আসা মহিলাদের।
ফ্রান্সের মিউজিক ফেস্টিভ্যালে সিরিঞ্জ হামলা, আহত প্রায় দেড়শোরও। অন্তত ১৫০ জন মহিলাকে খোলামেলা পোশাক পরিধানের কারণে হারাম আখ্যা দিয়ে ইনজেকশনের ছুঁচ ফুটিয়ে দেয়। ইনজেকশনের দ্বারা শরীরে অজ্ঞাত তরল প্রবেশ করানো হয়েছে।
এর মধ্যে ১৫ বছর কিশোরী-সহ অসংখ্য মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই হামলায় সিরিঞ্জ ব্যবহার করা ছাড়াও হয়েছে ভাঙচুর। তেমনই ৫১ টি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং মোটা ১৪ জন গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীরা মূলত বাংলাদেশী, আফ্রিকান এবং মধ্যপ্রাচ্যের শরণার্থী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত সিরিঞ্জ-সহ একজন বাংলাদেশী অভিবাসী এবং আরও ১১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। ফরাসি গণমাধ্যমে অনুযায়ী, উৎসবের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের লক্ষ্য করে হামলার আহ্বান জানানো হয়েছিল। প্যারিস ছাড়াও ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পর ফ্রান্সে মুসলিম শরণার্থীদের বিতাড়িত করার জোর দাবি উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতি বছর গোটা ফ্রান্স জুড়ে অনুষ্ঠিত হয় ফেটেস দে লা মিউজিক নামে জনপ্রিয় এই মিউজিক ফেস্টিভ্যাল। সেটিকে কেন্দ্র করে ভিড় জমান বহু মানুষ। এবছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। শনিবার রাতে প্যারিসে অনুষ্ঠান চলাকালীন একদল যুবক আচমকা সিরিঞ্জ নিয়ে হামলা চালায়। এরপরই সেখানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এলোপাথাড়ি কোপে আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
ফ্রান্সের মেয়র ফ্রাঁসোয়া গ্রোসডিডি বলেন, অত্যন্ত নিন্দনীয় একটি ঘটনা। সিটিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যেই ১২কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শীঘ্রই জাতীয় পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাদাবাদ করবে। এছাড়াও সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়।