রাশিয়ায় ১৪ কিশোরী আর তার প্রেমিক মিলে খুন করল মাকে। সুপারি কিলার দিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
মাত্র ১৪র কিশোরী। কিন্তু মায়ের কথা শুনতে নারাজ। মায়ের নির্দেশ যাতে পালন করতে না হয় তার জন্য মাসেই চিরতরে সরিয়ে দিল পৃথিবী থেকে। এমনই নির্মম ঘটনার সাক্ষী থাকল ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া। স্থানীয় এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৪ বছরের কিশোরী মায়ে খুন করার জন্য সুপারি কিলার বা হিটম্যান নিয়োগ করেছিল। কারণ কিশোরীর মা তার বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আর সেই কারণে রেগে গিয়ে মাকেই খুন করার চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিশোরী।
প্রতিবেদনে বসা হয়েছে, ৩৮ বছরের আনাস্তাসিয়া মিলোস্কায়াকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মহিলাকে মারধর করা হয়েছে, মৃত্যু নিশ্চিত করতে মহিলার মুখে প্ল্যাস্টিক জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান ১৪ বছরের মেয়ে ও তার ১৫ বছরের প্রেমিকা এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে। রাশিয়ান পুলিশের অনুমান প্রেমিক ও প্রেমিকা- মহিলাকে হত্যা করার জন্য ভারতীয় মুদ্রায় তিন লক্ষ ৭২ হাজার ১৫৬ টাকা দিয়েছিল সুপারি হিসেবে।
মিলোস্কায়া তাঁর মেয়েকে নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। সেখানেই থাকা শুরু করেছিল কিশোরীর প্রেমিক। কিন্তু প্রেমিক তার মেয়ের ওপর খারাপ নজর দিচ্ছিল, কুসঙ্গে মেয়ে নিয়ে যাচ্ছিল - এই অভিযোগ করে তিনি কিশোরীর প্রেমিককে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাতেই মিলোস্কায়ার ওপর রাগ হয়েছিল প্রেমিক ও প্রেমিকার। তারপর থেকেই মহিলাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে দুই জন। কারণ মহিলা যখন কর্মক্ষেত্র থেকে নিজের বাড়িতে ফিরছিল সেই সময়ই তাঁকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়।
রাশিয়ান এক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেন অনুযায়ী কিশোরী নাকি পুলিশকে বলেছে, তার মা ভাল মানুষ ছিল। কিন্তু প্রেমিকই তাঁর মাকে ঘৃণা করতে শিখিয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর মহিলা তাঁর মেয়ে নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ছিলেন। মেয়ের উন্নতি, পড়াশুনা আর স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য দিনভর কঠোর পরিশ্রম করতেন। তিনি তাঁর মেয়ের খুব যত্ন নিতেন বলেও জানিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর কিশোরী আর তার প্রেমিক যাদের মহিলাকে হত্যা করার জন্য সুপারি দিয়েছিল তাদের বয়সও ১৪-১৭ বছরের মধ্যে। তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই একজনকে পাকড়াও করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ। রাশিয়ান আইন অনুযায়ী কিশোরী ও তার প্রেমিক যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাদের তাদের কঠোর সাজা পেতে হবে। আর সুপারি কিলারদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে ববে।