নাসরাল্লাহর মতই অনেকটা দেখতে সাফিউদ্দিনকে। দুজনের শারীরিক ও মানসিক গঠনই প্রায় একই রকম। প্রথম দিন থেকেই দুই ভাই হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
হিজহুল্লাহর নতুন প্রধান হাশেম সাফিউদ্দীন। হাসান নাসারাল্লাহর মৃত্যুর পরই তাঁরই হাতে গেল ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের গুরুদায়িত্ব। নাসরাল্লাহর খুড়তুতো ভাই বলেন সাফিদ্দিন। গত ৩২ বছর ধরে তিনি হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। যদিও শনিবারই ইজরায়েলের হামলার পর একাধির সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছিল, নাসরাল্লার সঙ্গে নিহত হয়েছে সাফউদ্দিনও। কিন্তু তাঁর পোশাকের একটি সূত্র ধরে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে তিনি এখনও জীবিত রয়েছে।
নাসরাল্লাহর মতই অনেকটা দেখতে সাফিউদ্দিনকে। দুজনের শারীরিক ও মানসিক গঠনই প্রায় একই রকম। প্রথম দিন থেকেই দুই ভাই হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ১৯৬৪ সালে দক্ষিণ লেবাননের দেইর কানুন আল -নাহরে জন্মগ্রহণ করেন সফিউদ্দিন। ১৯৯০ সাল থেকেই তিনি নাসরাল্লাহ উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হয়ে রয়েছে। ইরান থেকে তাঁকে বেইরুটে ফিরিয়ে নিয়ে য়াওয়া হয়েছিল।
২০১৭ সাল থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফিউদ্দিনকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাঁর গতিবিধির ওপর নজর রাখার একাধিক চেষ্টা করেছে। সফিউদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরেই হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলি তত্ত্বাবদান করেন। গোষ্ঠীর জিহাজ কাউন্সের সদস্যও তিনি। নিহত ইরানি সামরিক জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মেয়ে জেইনাব সোলেইমানির শ্বশুর হিসেবে ইরানের শাসন ব্যবস্থার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। সিরিয়া সরকারকে সমর্থন করার জন্য একই বছর সৌদি আরব তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। নাসরাল্লাহর মৃত্যুর খবর সামনে আসার পর সিরিয়ায় উদযাপন শুরু হয়। হিজবুল্লাহকে জনগণ শত্রু হিসেবে দেখছে কারণ জঙ্গি গোষ্ঠী সিরিয়ার বিপ্লব দমনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সাহায্য করেছে।
হাশেম সফিউদ্দিন কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রধান হিসেবে হিজবুল্লার রাজনৈতিক বিষয়গুলির সঙ্গে জিহাদ কাউন্সিলের গুরু-দায়িত্ব পালন করেন। এই কাউন্সিলই সামরিক অভিযানের ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে। তিনি হিজবুল্লাহর শিক্ষা ব্যবস্থা ও অর্থ জোগাড়ের দিকটি খতিয়ে দেখতেন। বেসামরিক কার্যক্রমণের নেতৃত্ব দিতেন.
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।