হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা শেখ মুহাম্মদ আলি হামাদিকে বেকায় নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা। পারিবারিক কলহ নাকি অন্য কিছু? তদন্ত চলছে।
ইজরায়েল এবং লেবাননের ইরান সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান সংঘর্ষে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন। এই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার এর আরও একজন বড় নেতা শেখ মুহাম্মদ আলি হামাদিকে হত্যা করা হয়েছে।
হামাদি পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় অবস্থিত নিজের বাড়িতে ছিলেন, ঠিক তখনই অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা তাকে হত্যা করে। টাইমস অফ ইজরায়েলের প্রতিবেদন অনুসারে, হামাদি হিজবুল্লাহর স্থানীয় কমান্ডার ছিলেন। পশ্চিম বেকা জেলার মাচঘারায় তার বাড়ির কাছে তাকে ছয়বার গুলি করা হয়। হামাদিকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়।
হামাদির হত্যার কারণ পারিবারিক কলহকেও বিবেচনা করা হচ্ছে। তার পরিবারে বছরের পর বছর ধরে বিবাদ চলছে। লেবাননের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। হামাদির নাম মার্কিন ফেডারেল সংস্থা এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল। সে এথেন্স থেকে রোমগামী ১৫৩ জন যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের নিয়ে বিমানটি হাইজ্যাক করেছিল।
ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি
এই ঘটনাটি ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রাথমিক ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে ঘটেছে। চুক্তি অনুসারে, ইজরায়েলকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সৈন্যদের প্রত্যাহার করতে হবে। ইতিমধ্যে, হিজবুল্লাহকে ইজরায়েলের সীমান্ত থেকে লিটানি নদীর উত্তরে পিছু হটতে হবে।
উল্লেখ্য, ইজরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াইয়ের ফলে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি লেবানিজ এবং ৫০,০০০ ইজরায়েলি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। লেবানিজ কর্তৃপক্ষের মতে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ বোমা হামলার ফলে ৩,৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক। ইজরায়েলে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ইজরায়েলি বিমান বাহিনী ভারী বোমা হামলা চালিয়ে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।