
জোহানেসবার্গ: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী G20 লিডার্স সামিটের সময় অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার সঙ্গে মিলে একটি নতুন ত্রিপাক্ষিক প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব (ACITI) ঘোষণা করেছেন। এই উদ্যোগটি কেবল তিনটি মহাদেশ এবং মহাসাগরের গণতান্ত্রিক দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতাই বাড়াবে না, বরং AI, ক্লিন এনার্জি এবং সাপ্লাই চেইন ডাইভারসিফিকেশনে নতুন সম্ভাবনাও উন্মোচন করবে।
ACITI, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া-কানাডা-ভারত প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব, তিনটি দেশের প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের শক্তিকে একত্রিত করে। এর উদ্দেশ্য হল সবুজ শক্তি উদ্ভাবন, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং একটি শক্তিশালী সাপ্লাই চেইনের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়া। তিনটি দেশের সরকার এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "এই উদ্যোগটি AI-কে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করতে, সাপ্লাই চেইনকে বৈচিত্র্যময় করতে এবং ক্লিন এনার্জিতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।" অর্থাৎ, এটি শুধু প্রযুক্তিগত সহযোগিতাই নয়, তিনটি মহাদেশের জন্য ভবিষ্যতের শক্তি এবং প্রযুক্তিগত সুরক্ষারও একটি ইঙ্গিত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে এই অংশীদারিত্বের উদ্দেশ্য শুধু প্রযুক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) বিকাশ এবং ব্যাপক প্রয়োগের চেষ্টাও করবে, যা সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। উদাহরণস্বরূপ, AI-ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট এনার্জি সিস্টেম এবং খনিজ সরবরাহের নতুন প্রযুক্তি সরাসরি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
এই উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করার জন্য ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে তিনটি দেশের কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করবেন। এই বৈঠক ACITI-এর দিকনির্দেশনা এবং ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে।
জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী মোদী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও দেখা করেন। মোদী বলেন যে ভারত-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্বে নতুন শক্তি এসেছে এবং এটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। G20 শীর্ষ সম্মেলনের প্রাথমিক অধিবেশনে তিনি বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন পরামিতি নিয়ে পুনর্বিবেচনা, ড্রাগ-সন্ত্রাস চক্রের মোকাবিলা এবং একটি বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিক্রিয়া দল তৈরির প্রস্তাব দেন।
তিনটি দেশের মধ্যে এই ত্রিপাক্ষিক জোট ভবিষ্যতের প্রযুক্তি, AI, ক্লিন এনার্জি এবং সাপ্লাই চেইন সুরক্ষার দিক থেকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এই উদ্যোগটি কেবল প্রযুক্তিগত সহযোগিতাই বাড়াবে না, বরং বিশ্বব্যাপী তিনটি মহাদেশের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ভবিষ্যতের পথও খুলে দেবে।