
পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়লেও, বিশ্বের বেশিরভাগ যানবাহন এখনও জীবাশ্ম জ্বালানিতেই চলে। এমন পরিস্থিতিতে, শুধুমাত্র জল দিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব, ইরানের একজন বিজ্ঞানীর প্রকাশ করা এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইরানের বিজ্ঞানী কাসেমি তার গাড়ির ফুয়েল ট্যাঙ্কে জল ভরে গাড়ি চালানোর একটি দৃশ্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, তিনি তার গাড়িটি কীভাবে জলে চালানো সম্ভব তার পেছনের বিজ্ঞানও ব্যাখ্যা করেছেন।
কাসেমি বলেন, "এই গাড়ির ট্যাঙ্কে ৬০ লিটার পর্যন্ত জল ভরা যায়। এটি দিয়ে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভ্রমণ করা সম্ভব। এটি প্রায় ১০ ঘন্টা একটানা চলার ক্ষমতা রাখে। এর জন্য কোনো জ্বালানি বা বাহ্যিক বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই। এই গাড়ির ইঞ্জিন জলকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে বিভক্ত করে শক্তি উৎপাদন করে। এই রাসায়নিক পরিবর্তন ব্যবহার করেই গাড়িটি চলে," বলে তিনি জানিয়েছেন।
"এই গাড়িটি কোনো দূষণ ছড়ায় না। এটি শুধুমাত্র জলীয় বাষ্প নির্গত করে, তাই এটি সম্পূর্ণ পরিবেশ-বান্ধব," কাসেমি আরও বলেন।
কাসেমির প্রকাশ করা এই ভিডিওটি ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে শেয়ার হলেও, এর সম্ভাব্যতা নিয়ে নেটিজেন এবং বিজ্ঞানী মহল গভীর সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
নেটিজেন এবং বিজ্ঞানীদের মতে, "জল থেকে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন আলাদা করা একটি অত্যন্ত শক্তি-সাশ্রয়ী প্রক্রিয়া। প্রকৃতপক্ষে, এই প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপাদনের চেয়ে বেশি শক্তি খরচ হয়। তাই, কাসেমির দাবি থার্মোডাইনামিক্সের (তাপগতিবিদ্যা) মৌলিক নিয়ম লঙ্ঘন করে," বলে তারা জানিয়েছেন।
তবে, এই দাবি যদি সত্যি হয়, তবে এটি যানবাহন পরিবহন শিল্পে একটি বড় বিপ্লব ঘটাবে বলে অনেক নেটিজেন বিস্ময়ের সাথে মন্তব্য করেছেন।
জলে গাড়ি চালানো সম্ভব বলে দাবি করা ভিডিও এই প্রথমবার প্রকাশিত হয়নি। এর আগেও অনেক ইউটিউব চ্যানেল এই ধরনের ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাও ইতিমধ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে।