
Israel Iran Conflict Sixth Day : গত এক সপ্তাহ ধরে ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ওয়াশিংটনে অবস্থিত মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস’ এর মতে, ইজরায়েলি হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৩৯ জনের মৃত্যু এবং ১,৩২৯ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৬৩ জন সাধারণ নাগরিক এবং ১৫৪ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। মঙ্গলবার ইরান তেল আবিব এবং জেরুজালেম সহ বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সাইরেন বাজতেই লোকজন বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী ১০০ টিরও বেশি ইরানি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করেছে, তবে কিছু হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
১. ষষ্ঠ দিনেও অব্যাহত সরাসরি যুদ্ধ
ইজরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সংঘাত টানা ষষ্ঠ দিনেও অব্যাহত রয়েছে। উভয় দেশের পক্ষ থেকে বিমান হামলা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা আরও তীব্রতর হয়েছে।
২. তেহরানে ইজরায়েলের বড় বিমান হামলা
ইজরায়েল ইরানের রাজধানী তেহরানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় সামরিক ঘাঁটি, সেন্ট্রিফিউজ তৈরির কারখানা এবং অস্ত্র তৈরির কারখানাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। হামলায় ইজরায়েলের ৫০ টিরও বেশি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছিল।
৩. ইরানের পাল্টা হামলা, তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
ইজরায়েলের হামলার জবাবে ইরান হাইপারসনিক ফতেহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে নিক্ষেপ করেছে। এই হামলায় শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং লোকজনকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
৪. সাধারণ মানুষের মৃত্যু
ইজরায়েলের হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইরানে কমপক্ষে ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
৫. ইরানের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বড় সাইবার আক্রমণ
ইজরায়েল ইরানের ইন্টারনেট ব্যবস্থায় বড় সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে। অপরদিকে, ইরান অভিযোগ করেছে যে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম ইজরায়েলকে ব্যবহারকারীদের তথ্য দিয়েছে। যদিও মেটা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।৬. ইরানে ইন্টারনেটে কঠোর বিধিনিষেধ
ইরান দেশে ইন্টারনেট পরিষেবাতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সরকারের বক্তব্য, ইজরায়েল ইন্টারনেটের অপব্যবহার করতে পারে, তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৭. আমেরিকার কঠোর সতর্কবাণী
মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কঠোর সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন, আমেরিকার উপর হামলা হলে ইরানকে ভারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। যদিও আমেরিকা এই যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৮. পারমাণবিক উত্তেজনা
ইজরায়েলের দাবি, তাদের হামলার লক্ষ্য ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি থেকে বিরত রাখা। তাই তারা সেই সব জায়গায় হামলা করছে যেখানে পারমাণবিক সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
৯. রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই সংঘাত নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে
রাশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত এই সংঘাত নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে যে এর খুব খারাপ পরিণতি হতে পারে। উভয় দেশ মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছে। অপরদিকে, জি৭ দেশগুলি উত্তেজনা কমাতে আহ্বান জানিয়েছে, তবে ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করেছে।
১০. ইজরায়েলে অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন
যুদ্ধের মধ্যেও ইজরায়েল দেশের অভ্যন্তরে কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট যে তারা তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।