
জাপান, ইংল্যান্ড এবং ইতালির নেতৃত্বে পরবর্তী প্রজন্মের বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিমান প্রকল্প (জি-ক্যাপ)-এ অংশগ্রহণের জন্য জাপান ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ২০২২ সালে শুরু হওয়া জি-ক্যাপ প্রকল্পটি ইংল্যান্ড, জাপান এবং ইতালির একটি যৌথ উদ্যোগ।
জি-ক্যাপ যুদ্ধবিমান প্রকল্প
এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নকশা, উৎপাদন এবং সরবরাহ করা। বর্তমানে জি-ক্যাপ প্রকল্পে যুক্ত ইংল্যান্ড, জাপান, ইতালি আরও একজন অংশীদার খুঁজছে। ১৯ নভেম্বর, ২০২৪-এ এই তিন দেশের নেতারা বৈঠকে বসে জি-ক্যাপ প্রকল্পে আরও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিন দেশের নেতাদের আলোচনা
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এবং ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার জি-ক্যাপ প্রকল্পের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। একইসাথে বর্তমান অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ভারতকে আমন্ত্রণ
এরই ধারাবাহিকতায় জি-ক্যাপ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে যোগ দিতে ভারতকে জাপান আমন্ত্রণ জানিয়েছে। জাপানি কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফর করেছিলেন। জাপানের কিয়োটো সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, জাপান-ইংল্যান্ড-ইতালির “বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিমান প্রকল্প (জি-ক্যাপ)” সম্পর্কে তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন এবং ভারতকে এই প্রকল্পে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন।
ভারতের সিদ্ধান্ত কী?
জি-ক্যাপ প্রকল্পে অংশীদার দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় কমানোর লক্ষ্য জাপানের। এছাড়াও, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এশীয় দেশ ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে চায় জাপান। তবে এ বিষয়ে ভারত এবং জাপানের পক্ষ থেকে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
সৌদি আরবও কি যোগ দিচ্ছে?
জি-ক্যাপ যুদ্ধবিমান প্রকল্প পরবর্তী প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের বিকাশ তদারকি করবে, দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করবে এবং প্রকল্পের শিল্প কাঠামো পরিচালনা করবে। জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ, ইতালির লিওনার্দো এবং ইংল্যান্ডের বিএই সিস্টেমস এই প্রকল্পের সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করবে। জাপান ভারতকে জি-ক্যাপ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি সৌদি আরবও এই প্রকল্পে যোগ দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।