ইজরায়েল-প্যালেস্টাই যুদ্ধে করুণ পরিণিত, হামাসের পণবন্দি ১০ মাসের শিশু নিহত বোমার আঘাতে

নিহত ১০ মাসের শিশুটির নাম কেফির বিবাস। তার দাদার নাম এরিয়েল বিবাস ও মায়ের নাম শিরি বিবাস। ইজরায়েল সেনা বাহিনী বলেছে তারা হামাসের এই দাবি খতিয়ে দেখছে।

 

Saborni Mitra | Published : Nov 29, 2023 5:43 PM IST / Updated: Nov 29 2023, 11:21 PM IST

ইজরায়েল - প্যালেস্টাইন যুদ্ধের করুণ পরিণতি। গাজায় হামাসের হাতে পণবন্দি কনিষ্ঠতম সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের বোমা বর্ষণ। হামাসের একটি সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, নিহত হয়েছে মাত্র ১০ মাসের একটি শিশু। তার চার বছরের ভাই ও বাবা-মা-ও নিহত হয়েছে ইজরায়েলের হামলায়। অন্যদিকে হামাসের এই দাবি এখনও মানতে নারাজ ইজরায়েল। তারা জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত হবে।

নিহত ১০ মাসের শিশুটির নাম কেফির বিবাস। তার দাদার নাম এরিয়েল বিবাস ও মায়ের নাম শিরি বিবাস। ইজরায়েল সেনা বাহিনী বলেছে তারা হামাসের এই দাবি খতিয়ে দেখছে। বিবৃতি দিয়ে হামাস জানিয়েছে, 'হামাস গাজা উপত্যকায় সমস্ত পণবন্দিদের নিরাপত্তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী।' মঙ্গলবার ইজরায়েলের প্রধান সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, কেফির , এরিয়েল ও তাদের বাবা ও মাকে হামাসরা অন্য প্যালেস্টানীয় গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিয়েছিল। পরিবারটি দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় খান ইউনিস এলাকায় ছিল। সেখানেই তাদের ওপর হামলা চালান হয়েছিল।

বিবাস পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছে, সে তার বাবা - মা ও ভাইকে মুক্তি দিতে সাহায্য করার জন্য মিশর ও কাতার থেকে ইজরায়েলের সরকার ও ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বিরতিতে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে অনুরোধ করেছিল। হামাস জঙ্গিরা গত ৭ অক্টোবর তাদের আশ্চর্যজনক হামলার সময় দক্ষিণ ইজরায়েলি কিবুটজ নির ওজ থেকে ছোট্ট কেফির ও তার গোটা পরিবার থেকে তুলে নিয়েছিল। এই সময়ই প্রায় ১২ হাজার ইজরায়েলি নিহত হয়েছিল। ইজরায়েল সরকার আরও বলেছে, হামাসরা ২৪০ জনকে পণবন্দি করেছিল। তারমধ্যে সবথেকে ছোট্ট পণবন্দি ছিল কেফির।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অপহরণের ভিডিওতে আতঙ্কিত শিরি শিশুদের কম্বল দিয়ে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন যখন তারা বন্দি অবস্থায় ছিল। অন্য একটি ক্লিপে দেখা যাচ্ছে ইয়ার্ডেনের মাথায় হাতুড়ির আঘাত মারা হচ্ছে। নিহত শিশুর কাকা জানিয়েছেন, এই হামলায় শিশুটির মাত্র চার বছরের দাদাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইয়ার্ডেন ও তাঁর স্ত্রীকে সন্তানদের থেকে দূরে রাখাও হয়েছিল। যদিও হামাসরা শিশুটির বাবার কথা এখনও পর্যন্ত জানায়নি।

 

Read more Articles on
Share this article
click me!