
আবারও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিও সায়েন্সেসের মতে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.২ মাত্রায় কম্পন অনুভূত হয়। এই সপ্তাহের শুরুতেই আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি কম্পন হয়েছিল। যার ফলে ২,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ৩,৬০০ জনেরও বেশি আহত হন। এই ভূমিকম্পগুলো গ্রামগুলোকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয় এবং হাজার হাজর মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
জিএফজেড জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। আফগানিস্তানের সবচেয়ে মারাত্মক ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি ছিল কুনার এবং নাঙ্গারহার প্রদেশে।
এদিকে সেই জোরালো ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানই ছিল কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু। জোরালো এই ভূমিকম্পনের জেরে কম্পন অনুভূত হয় পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। কম্পন ভারতের জম্মু-কাশ্মীর এবং দিল্লি এনসিআর-এরও একাংশে অনুভূত হয়।
আফগানিস্তানের সরকারের বিবৃতি অনুসারে, নাঙ্গারহার এবং আশপাশের অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ১৬০ কিমি গভীরে ছিল কম্পনের কেন্দ্র। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলেক ১১১ কিমি গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। স্থানীয় সময় রাত ১১.৫৬ মিনিটে কম্পন হয়।
শেষবার আফগানিস্তানের সাহায্যের আবেদনের পর ভারত ছাড়াও চিন ও ব্রিটেনের মতো দেশও ত্রাণ পাঠিয়েছে। ব্রিটেন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাহায্য করার জন্য ১ মিলিয়ন পাউন্ড, অর্থাৎ প্রায় ১০ কোটি টাকার জরুরি তহবিল দেওয়ার ঘোষণা করেছে। চিন বলেছে, আফগানিস্তানের প্রয়োজন ও নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করবে।
এদিকে ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে তাদের সম্পদ ফুরিয়ে আসছে। জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলো খাদ্য, আশ্রয় ও চিকিৎসা সরবরাহের প্রয়োজনের কথা জানিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, একের পর এক কম্পনের কারণে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে স্থানীয় মানুষদের।