এই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল ১৭৮ থেকে ১৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। তবে ১৯৭১ সালে ঘটনাক্রমে এই নারীর কবর আবিষ্কৃত হলে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছিলেন।
সারা বিশ্ব থেকে মমি সম্পর্কে বিভিন্ন গল্প শোনা যায়, তবে আমরা যে চিনা মমিটির কথা বলছি তা দেখে বিজ্ঞানীরাও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। আসলে, এই মমিটি দু হাজার বছরের পুরানো কিন্তু এখনও শরীরের প্রায় সমস্ত অঙ্গ পরিষ্কার ও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। এই মমিটি চিনের এক মহিলার। এমন দাবি করা হচ্ছে। চিনা ওই মহিলার নাম বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন 'দ্য লেডি অফ ডাই' বা জিন ঝুই।
চিনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, এই মহিলার মৃত্যু হয়েছিল ১৭৮ থেকে ১৪৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। তবে ১৯৭১ সালে ঘটনাক্রমে এই নারীর কবর আবিষ্কৃত হলে বিজ্ঞানীরা অবাক হয়েছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজ্ঞানীরা মৃত নারীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অক্ষত অবস্থায় দেখতে পান। মহিলার চোখও পুরো অক্ষত অবস্থায় ছিল। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল তখনও তার শিরায় রক্ত ছিল।
সবচেয়ে অক্ষত অবস্থায় থাকা মমি হিসেবে উদ্ধার দেহ
কবরের কাছে রাখা জিনিসপত্র দেখে অনুমান করা যায় যে মৃত মহিলাটি খুব সচ্ছল পরিবারের সদস্য ছিলেন। বলা হচ্ছে এটি এখন পর্যন্ত পাওয়া সবচেয়ে অক্ষত অবস্থায় থাকা মমি। বিস্ময়কর মমিটি দেখে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যার পরে তারা দেখতে পান যে মৃত মহিলার পেট এবং অন্ত্রে তরমুজের বীজ রয়েছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন, মৃত্যুর ঠিক আগে ওই মহিলা নিশ্চয়ই তরমুজ খেয়েছিলেন। তবে ২০০০ বছর পরেও মহিলার মৃতদেহ কীভাবে অক্ষত রইল তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও গবেষণার বিষয়। বিজ্ঞানীরা এখনও এই রহস্যের সমাধানে কাজ করছেন। এখনও তারা বুঝে উঠতে পারেননি কোন রাসায়নিক ব্যবহার করে ওই মমিটি বানানো হয়েছে ও কীভাবে তা এত অক্ষত অবস্থায় এত হাজার বছর পরেও রয়ে গেল।
প্রাচীনতম মমি পাওয়া গেছে মিশরে
এর আগে মিশরে প্রাচীনতম মমি আবিষ্কারের দাবি করা হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এখানে ৪৩০০ বছরের পুরনো একটি মমি আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বিশ্বের প্রাচীনতম মমিটি একজন মানুষের। যাইহোক, মিশরে বহু বছর পুরানো মমি পাওয়া নতুন নয়। এমন খবর প্রতিদিনই আসে এখান থেকে।
এদিকে, বছর দুয়েক আগে মিশর থেকে ১০০টিরও বেশি কফিন পাওয়া যায়। সেগুলি সবকটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র একটি কফিনই খোলা হয়েছে। সেই কফিন থেকে পাওয়া গেছে একটি মমি। গায়ারোগ্ল্যাফিক ছবি দিয়ে সাজানো অধিকাংশ কফিন। এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরর কথায় মৃতদেহগুলি সাক্কারারা। সাক্কারা হল প্রাচিন মিশরের রাজধানী মেমফিসের সমাধিস্থান। ইউনেস্কোর একটি অন্যতম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।