
Nepal Gen Z movement Update: বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে নেপালে জেন-জি আন্দোলনে সোমবার এবং মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। কাঠমান্ডু থেকে এই আন্দোলন শুরু হলেও তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। নেপালের বিক্ষুব্ধ যুব সমাজ রাস্তায় নেমে পড়ে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ । মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। জায়গায় জায়গায় আগুন লাগিয়ে চালায় বিক্ষোভ। নেপালের সুপ্রিম কোর্টও জ্বলে যায় সেই আগুনে।
এই দুদিন এইভাবে কাটার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নামানো হয় সেনা। আনুষ্ঠানিক ভাবে নেপালের দায়িত্ব নিল সে দেশের সেনাবাহিনী। সে দেশের অলিতে গলিতে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। গতকাল থেকেই নেপালে বড় কোনও অশান্তি না ঘটলেও দিকে দিকে চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। নেপালের বাঁকে জেলার সংশোধনাগারের সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সুযোগে নেপালের জেলগুলিতে সহিংসতা ছড়ায়। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষে ও জেল ভেঙে পালানোর চেষ্টার প্রতিরোধ করতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা আক্রান্ত হন। বন্দিরা পালানোর চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। তাতে সাত জন আহত হন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ জনের মৃত্য হয়।
প্রধানমন্ত্রী ওলির ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। নেপাল সরকারের প্রধান সচিবালয় ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনাবাহিনী। নেপালের সেনাবাহিনী জানায়, দেশের সার্বভৌমত্ব, বাসিন্দাদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে সেনার দাবি, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী দেশের অস্থির পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দেশে লুটপাট চালালে, ভাঙচুর করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী।