ডার্ক চকোলেট জৈবিক বার্ধক্যকে ধীর করতে পারে, সৌজন্যে থিওব্রোমিন। কোকোয়ার এই যৌগ স্বাস্থ্যকর ডিএনএ মার্কার এবং দীর্ঘ টেলোমিয়ারের সাথে যুক্ত। একটি নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, পরিমিত পরিমাণে খেলে তিক্ত অ্যালকালয়েড কীভাবে দীর্ঘায়ু বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
কিংস কলেজ লন্ডনের নতুন গবেষণা। ডার্ক চকোলেটের থিওব্রোমিন কি বার্ধক্য রুখতে পারে?কোকোয়ায় থাকা থিওব্রোমিন নামক যৌগ জৈবিক বার্ধক্যকে ধীর করতে পারে। এটি আপনার আসল বয়সের চেয়ে কোষের স্বাস্থ্যকে বেশি গুরুত্ব দেয়, যা দীর্ঘায়ু জীবনের ইঙ্গিত দেয়।
25
ইউরোপীয় গবেষণা
গবেষণা বলছে, রক্তে থিওব্রোমিনের উচ্চ মাত্রা কম জৈবিক বয়সের সাথে যুক্ত। ১,৬৬৯ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর করা গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রক্তে থিওব্রোমিনের মাত্রা বেশি, তাদের জৈবিক বয়স তাদের প্রকৃত বয়সের তুলনায় কম ছিল।
35
থিওব্রোমিনের প্রভাব
এপিজেনেটিক মার্কার এবং টেলোমিয়ারের দৈর্ঘ্যের উপর ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে থিওব্রোমিনের।এই যৌগটি ডিএনএ-র এপিজেনেটিক পরিবর্তনকে ধীর করে এবং ক্রোমোজোমের সুরক্ষাকারী টেলোমিয়ারকে দীর্ঘ রাখতে সাহায্য করে, যা কোষের বার্ধক্য কমায়।
থিওব্রোমিন রক্ত প্রবাহ উন্নত করে, রক্তচাপ কমায়, ফ্যাট মেটাবলিজম বাড়ায় এবং জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা উন্নত করে। তাই এটি একটি বহু-কার্যকরী যৌগ।
55
উচ্চ কোকোয়াযুক্ত ডার্ক চকোলেট
বিজ্ঞানীরা পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন। মিল্ক বা হোয়াইট চকোলেটে থিওব্রোমিন প্রায় থাকেই না এবং অতিরিক্ত চিনি ও ফ্যাট উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।