প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ জানতেন ৯/১১ হামলার কথা ।সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করল সিএনএন। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আগাম জানতেন।
দিনটা ৯/১১। স্বাবাভিকভাবেই শুরু হয়েছিল দিনটি। সূর্যের আলোয় চারিদিক আলোকিত। রোদে আকাশ ঝলমল করছে। এতো সুন্দর ওয়েদারে কাজে মন বসছিলো না ওয়ার্ল্ড টেক সেন্টারে কর্মরত ইলতিমাজের। অফিস যাওয়ার দিকেও একদমই মন ছিল না তার। চেয়েছিলেন সারাদিন তার নববিবাহিত স্ত্রী এর সঙ্গে অন্তরঙ্গ কিছু মুহূর্ত কাটাতে কিন্তু তার এই ইচ্ছেটিকে খুব একটা পাত্তা দিলো না না সদ্যবিবাহিত স্ত্রী। কারণ তারও যে অফিস। ভালোবাসার রূপকথায় বাঁচলে চলবে কেমন করে ? তাই ঠেলে ঠেলে পাঠালো তিনি ইলতিমাজকে পাঠালেন স্নানে। তারপর লাঞ্চ এর ডিব্বা হাতে ধরিয়ে বললেন ,' সময় মতো খেয়ে নিয়ো , আর তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরো।'
বাকি ঘটনাটা ঠিক এমন সুন্দর রূপকথার মতোই হতে পারতো যদি না সেদিন জঙ্গি হামলায় ইলতিমাজের কাজের জায়গাটি ধ্বসে যেত নিমেষে।সন্ত্রাসবাদী হামলায় সেদিন ওয়ার্ল্ড টেক সেন্টার ধ্বসে গেছিলো ১২ মিনিটে। যেসব লোক দুর্ভাগ্যবশত সেদিন মারা গেছিলেন ওই ঘটনায় তাদের মধ্যে ইলতিমাজও একজন। কিন্তু এই ইলতিমাজের মতো মানুষরা হয়তো চাইলে বেঁচে যেতে পারতো যদি না প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বুশ সেইসময় সব জেনেও কিছু না জানার ভান না করতেন। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করল সিএনএন। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আগাম জানার পরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের কিছু সরকারি নথির উল্লেখ রয়েছে। সেই নথিতে দাবি করা হয়েছে, আল কায়দা জঙ্গিগোষ্ঠীর বড় ধরনের নাশকতার ছক সম্পর্কে অন্তত এক মাস আগে গোয়েন্দা সূত্রে খবর এসেছিল হোয়াইট হাউসের তৎকালীন বাসিন্দার কাছে। কিন্তু পুরো বিষয়টি জানার পরেও আশ্চর্যজনক ভাবে নিরুদ্বেগ ছিলেন তিনি!
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালেই আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, ৯/১১ সন্ত্রাসের আগাম খবর বুশের কাছে ছিল। ওই খবরে দাবি করা হয়, ২০০১ সালের ৬ অগস্ট আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ ওসামা বিন লাদেনের নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে ‘ব্রিফ’ করেছিল বুশকে। কিন্তু বিষয়টি জানার পরেও কোনও পদক্ষেপ নেননি বুশ।