হিজবুল্লা পেজার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২,৮০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রায় একই সময় লেবাননের বিভিন্ন প্রান্ত এবং সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে পেজার বিস্ফোরণ হয়েছে।
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৯ জন মারা গেছে এবং ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় হিজবুল্লার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিজবুল্লা সদস্য ও অন্যরা যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত পেজারগুলিতে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ আরও বলেছে যে এই বিস্ফোরণের পিছনে ইজরায়েল ছিল।
ইজরায়েলের জড়িত থাকার আশঙ্কা
তবে হিজবুল্লা পেজার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত এবং ২,৮০০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রায় একই সময় লেবাননের বিভিন্ন প্রান্ত এবং সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে পেজার বিস্ফোরণ হয়েছে। এই ঘটনায় একাধিক হিজবুল জঙ্গির মৃত্যু তো হয়েছেই, আহত অনেকেই। গুরুতর জখম হয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূতও। স্বাভাবিকভাবেই ইজরায়েলের দিকে আঙুল তুলেছে হিজবোল্লা গোষ্ঠী। এই কাজের জন্য তাদের পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি ইজরায়েল।
কী এই পেজার?
যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয় এটি। পেজারের মাধ্যমে লোকেশন ট্র্যাক করা যায় না। বহু সময় আগে এটি পুরোদস্তুর ব্যবহার হত। তবে মোবাইল আসার পর তার ব্যবহার কমেছে। কিন্তু হিজবোল্লা গোষ্ঠী এই পেজার ব্যবহার করে যাতে তাদের লোকেশন ট্র্যাক না করা যায়। সাধারণত হাতে বা পকেটে থাকে এই পেজার।
মূলত রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে মেসেজ পাঠায় ও গ্রহণ করে এই পেজার। ডিভাইসটির ছোট স্ক্রিনে সেই বার্তা দেখা যায়। মেসেজ এলে ফোনের মেসেজ টোনের মতো আওয়াজও হয় তাতে। ২০০০ সালের দোরগোড়া পর্যন্ত বহু মানুষ পেজার ব্যবহার করত। মোবাইল ফোনের আবিষ্কারের পর থেকেই পেজারের ব্যবহার কমতে থাকে। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে এই পেজার ব্যবহার এবং তাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে বিশ্বে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।