আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার পোস্টে মিয়ানমার ও গাজার পাশাপাশি ভারতকেও তুলনা করেছেন। এবার পাল্টা জবাব দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে যোগ্য জবাব দিয়েছে। সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে ভারতের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করার আগে ইরানকে প্রথমে নিজের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সম্প্রতি আলি খামেনি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারতের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি ভারতকে সেই দেশের ক্যাটাগরিতে রেখেছেন যেখানে মুসলিমদের ওপর নৃশংসতা চালানো হচ্ছে। এ সময় তিনি মুসলিম জনসংখ্যা রক্ষায় বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তার পোস্টে মিয়ানমার ও গাজার পাশাপাশি ভারতকেও তুলনা করেছেন। খামেনি এমন মন্তব্য করেছেন যখন তিনি নিজেই সুন্নি মুসলিম ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এবার পাল্টা জবাব দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য করার আগে ইরানের নিজেদের রেকর্ড পরীক্ষা করা উচিত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে 'আমরা ভারতের মুসলমানদের সম্পর্কে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। এটি মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা এবং এটি গ্রহণযোগ্য নয়। সংখ্যালঘুদের নিয়ে মন্তব্যকারী দেশগুলোকে আগে নিজেদের মধ্যে দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।'
ইরানের মহিলাদের জন্য হিজাব আইন
মানবাধিকার ইস্যুতে ইরান বিশ্বব্যাপী সমালোচিত। বিশেষ করে সুন্নি মুসলিম, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং মহিলাদের অবস্থা শোচনীয় সেদেশে। ইরানের সংখ্যালঘু সুন্নি মুসলমানদের দেশটির প্রধান শহর তেহরানে মসজিদ নির্মাণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চরম বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ইরানে কুর্দি, বেলুচি এবং আরবদের মতো জাতিগত সংখ্যালঘুরা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নিপীড়নের শিকার। ইরানের মহিলারা কড়া হিজাব আইন মেনে চলতে বাধ্য। ইরানে হিজাব আইন লঙ্ঘনের জন্য মহিলাদের জেল, জরিমানা এবং শারীরিক শাস্তি দেওয়া হয়।
ইরানে মৃত্যুদণ্ডের গ্রাফ বেড়েছে
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের অভ্যন্তরে ফাঁসি কার্যকরের গ্রাফ ক্রমাগত বাড়ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৮ মাসের মধ্যে ইরানে ৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর শুধু আগস্ট মাসেই ৮১ জনের ফাঁসি হয়েছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।