
ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে আগুন জ্বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থামার নামই নিচ্ছে না নেপালে। নেপালি তরুণদের বিক্ষোভ হিংসার রূপ নিয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, মঙ্গলবার নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল এবং প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ব্যক্তিগত বাসভবনও বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এঁদের উভয়ের বাসভবনেই আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চালানো হয়েছে ব্যাপক ভাঙচুর।
ওলি সরকারে পদত্যাগের যাত্রা শুরু
নেতাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মধ্যেও ওলি সরকারে পদত্যাগের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক, কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রদীপ পাউডেল এবং জল সরবরাহ মন্ত্রী প্রদীপ যাদব। দেশে দুর্নীতি এবং সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো যুব বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আজ সন্ধ্যা ৬ টায় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন।
জোট সরকার ভাঙার হুমকি
নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে জোট সরকার ভাঙার আশঙ্কা বেড়েছে। শের বাহাদুর দেউবার নেপালি কংগ্রেস ৮৮টি আসন নিয়ে এবং কেপি শর্মা ওলির সিপিএন (ইউএমএল) ৭৯টি আসন নিয়ে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে দেশে এক সঙ্গে সরকার পরিচালনা করছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি যে এখন পর্যন্ত সমস্ত পদত্যাগ নেপালি কংগ্রেস নেতারা করেছেন।
নেপালে বিক্ষোভকারীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ নেপালি যুবকরা আইনমন্ত্রীর বাড়িতেও পাথর ছুঁড়েছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড, শের বাহাদুর দেউবা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগকারী রমেশ লেখক এবং যোগাযোগমন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং-এর বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।