
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বদলাচ্ছে ইরানের সার্বিক পরিস্থিতি।ইরানি প্রশাসনের গোঁড়ামিতে কুঠারাঘাত থেকে শুরু করে ইরানের সংসদ ভবনে হামলা। সব জায়গায় ভাঙছে নিয়ম। এযেন এক দারুন বদলের পূর্বাভাস।
বুধবার ইরানের সংসদ ভবনে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী। ইরানের সবচেয়ে সম্মানীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির সমাধিতেও চলে হামলা। দেশের রাজধানী তেহরানের দুই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হামলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর এখনও পর্যন্ত এই জোড়া হামলায় নিহত হয়েছে মোট ৭ জন।
শোনা যায় ইরানি সংসদে গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন চলাকালীন চার বন্দুকধারী দুষ্কৃতী জোর করে ঢুকে পরে সংসদভবনে। নিরাপত্তা রক্ষীরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও চলে গুলি। এমনকি দর্শনার্থীদের দিকেও তাকে করেও গুলি চালায় ওই বন্দুকধারীরা। এলোপাথাড়ি গুলিতেই মৃত্যু হয় সংসদ ভবনের ৭ প্রহরীর। আহতও হন বেশ কয়েকজন। ইরানের সংবাদ সংস্থা তাসনিম সূত্রে খবর যে আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক কর্মকর্তা।
ঘটনার পর সংসদ ভবনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে দুষ্কৃতীরা সংসদ ভবন ছেড়ে বেরোতে না পারে। পার্লামেন্টে থাকা ডেপুটি সাংসদদের ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার কারণেই এখনও সংসদ ভবনের মধ্যেই রাখা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতায় একজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হলেও , বাকি তিনজন এখনও পার্লামেন্ট ভবনের ভিতরেই লুকিয়ে আছে বলে জানা গেছে।
এর বেশ কিছুক্ষন পর আয়াতুল্লাহ খোমেনির সমাধিতেও ঠিক একই ধরণের হামলা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এক টেলিভিশন সূত্রে খবর যে সমাধিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় একজন। নিজের শরীরের সঙ্গে বিস্ফোরক আটকে ওই সমাধির সামনে গিয়েই সেই বিস্ফোরণ করে এক দুষ্কৃতী , এতে প্রাণ হারান তিনি। কিন্তু এই হামলায় আর করা করা যুক্ত সে বিষয়ে জানা যায়নি এখনও।
তবে এই হামলার নেপথ্যে কি কারণ তা স্পষ্ট নয় এখনও।