
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের চলমান অস্থিরতা, আওয়ামী লীগের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশে একটি অনির্বাচিত, চরমপন্থী-সমর্থিত সরকারের উত্থানের জন্য দায়ী করেছেন। তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগকে বাদ দেওয়ার বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে আওয়ামী লীগকে বাদ দেওয়া গণতান্ত্রিক নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। দেশে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি ছাড়া কোনও নির্বাচন গণতান্ত্রিকভাবে বৈধ হতে পারে না। এই নির্বাচন একটি অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা একটি অসাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।” তিনি বলেন, "দেশের জনগণ নয়বার নির্বাচিত আওয়ামী লীগকে এই অনির্বাচিত সরকারের দ্বারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।" এটি দেশের লক্ষ লক্ষ ভোটারের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা।
ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, "বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা বিরোধী দলে থাকুক, সেটা অপ্রাসঙ্গিক, কিন্তু এভাবে নিষিদ্ধ করে সাধারণ নির্বাচন থেকে তাদের দূরে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের স্বার্থে আওয়ামী লীগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় দেশটি এমন একটি সরকার গঠনের সুযোগ হারাবে যা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের সম্মতিতে শাসন করবে।" তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশে স্থিতিশীলতা চায় এবং এই নিষেধাজ্ঞার প্রক্রিয়া বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশে ফিরে আসার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "বাংলাদেশের প্রতি আমার অঙ্গীকার অটল। আমি দেশের পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি এবং আজও আমার অঙ্গীকার অটুট রয়েছে।" “আমি আমার দেশে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু এর জন্য আমার শর্ত হলো গণতন্ত্র সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা। তাছাড়া, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে, কারণ বাংলাদেশের জনগণের তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের মৌলিক অধিকার রয়েছে।”