আত্মহত্যা নিয়ে বড় পদক্ষেপ কিম জং উনের, তথ্য লুকালেও উত্তর কোরিয়ার উদ্বেগ স্পষ্ট হচ্ছে
সম্পূর্ণ অন্য ভূমিকায় কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক যিনি কথায় কথায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিতেন তিনি এবার আত্মহত্যা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক যিনি কথায় কথায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিতেন তিনি এবার আত্মহত্যা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে
উত্তর কোরিয়ায় আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। তেমনই বলছে পরিসংখ্যান। কিন্তু সরকারি কোনও তথ্য নেই। কারণ তথ্য লুকিয়ে রাখার বদনাম রয়েছে কিম জং উনের বিরুদ্ধে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি
পিয়ংইয়ং তথ্য লুকিয়ে রাখলেও উত্তর কোরিয়ার দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের দাবি কিমের দেশে আত্মহত্যার ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
ড্যামেজ কন্ট্রোলে কিম
আর সেই কারণেই আত্মহত্যা নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন কিম জং উন। তিনি আত্মহত্যা করতে নিষেধ করেছেন দেশের মানুষকে। শুধু তাই নয় এসংক্রান্ত একাধিক নির্দেশ জারি করেছেন।
কিমের নির্দেশ
কিম বলেছেন সমাজতান্ত্রিক দেশে আত্মহত্যা রাষ্ট্রদ্রোহের সামিল। সরকারি কর্মকর্তাদের আত্মহত্যার রুখতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন কিম। সরকারি কর্মীদের সক্রিয় হতেও নির্দেশ কিমের।
সরকারি কর্তাদের জবাবদেহী
শুধু নির্দেশ দিয়েই খালাস নয়। কিম বলেছেন আত্মহত্যার ঘটনা বাড়লে তার জন্য সরকারি কর্তাদের জবাবদেহী করতে করতে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তর কোরিয়ায় জরুরি বৈঠক
সূত্রের খবর আত্মহত্যা নিয়ে উত্তর কোরিয়ায় জরুরি বৈঠকও হয়েছে। এক সরকারি কর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে এই তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন আত্মহত্যা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন কিম।
কিমের দেশে আত্মহত্যা
কিমের দেশে আত্মহত্যা নিয়ে তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। বলেছেন, এক একেক জন আত্মহত্যা করেছে। পাশাপাশি গোটা পরিবারও একসঙ্গে আত্মঘাতী হচ্ছে। এমন ঘটনাও ঘটছে উত্তর কোরিয়ায়। দেশের পরিস্থিতির সমালোচনা করেই আত্মহত্যা করেছে অনেকে। তেমন নোটও উদ্ধার হয়েছে।
আত্মঘাতী হচ্ছে
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বেশিরফভাগ দরিদ্র মানুষই আনাহারের কারণে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা প্রতিরোধ কমিটি এখনও পর্যন্ত তেমন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কেউ কোনও উদ্যোগ নেয় না বলেও অভিযোগ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব
২০১৯ সালের তথ্য অনুসারে উত্তর কোরিয়ায় প্রতি ১ লক্ষ জনে আত্মঘতী হয়ে ৮.২ জন মানুষ। বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলেও দাবি করছে উত্তর কোরিয়া।