
Taliban bans chess: আফগানিস্তানে আবারও এক বিস্ময়কর নিষেধাজ্ঞা জারি। এবার তালিবান সরকার সেদেশে নিষিদ্ধ করল দাবা খেলা। বিশ্বজুরে ‘বুদ্ধির খেলা’কে জুয়া খেলার উৎস বলেই দাবি তালিবানের। ধর্মীয় কারণে এমন পদক্ষেপ বলেই জানাচ্ছে তালিবান সরকার।
২০১৬ সালেও সৌদি আরবেও একবার দাবাকে ‘হারাম’ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল, পরে তা প্রত্যাহারও করা হয়। একই পথে হেঁটে তালিবান সরকারও এবার অনির্দিষ্টি কালের জন্য দাবাকে নিষিদ্ধ করেছে। ২০২১ সালে তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর খেলাধুলো-সহ আরও অনেক ক্ষেত্রে অনেক বিধি নিষেধ জারি করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধ হেনেছে মহিলাদের ক্রিকেট খেলাতেও।
আফগানিস্তানের পুণ্য প্রচার এবং পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রক বা মিনিস্ট্রি অফ প্রপাগেশন অফ ভার্চু অ্যান্ড প্রিভেনশন অফ ভাইস এবং আফগানিস্তানের ক্রীড়া মন্ত্রক উভয়ের পক্ষ থেকেই ঘোষণা করে দাবা খেলাকে নিষেধ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, ১১ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। দাবার কোনও প্রতিযোগিতা এখন থেকে আর আফগানিস্তানে হবে না। এমনকি বিনোদনের জন্যও আর দাবা খেলা যাবে না আর দেশে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। আফগানিস্তানের পুণ্য প্রচার এবং পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রক আফগানিস্তান দাবা ফেডারেশন সিজ করেছে। তাদের ব্যাখ্যা অনুসারে ইসলামি শরীয়ত অনুসারে, দাবা খেলা ‘হারাম’। দাবা খেলায় শুধু সময়ের নষ্ট হয়। এই খেলা ধর্মীয় অনুশাসন বিরোধী।
দাবা নিষেধাজ্ঞার কারণ :
* দাবা খেলা থেকে জুয়া খেলার আসক্তি সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হয়।
* প্রার্থনার সময় ব্যাঘাত ঘটে ও খেলাটি ধর্মীয় চেতনার ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য রাখে না।
* দাবা খেলাকে কেন্দ্র করে অনৈতিকতা বা সামাজিক বিভেদ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
* শিক্ষার্থী ও যুবসমাজের মধ্যে সময়ের অপচয় ঘটায় বলে দাবি করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের বেশ কিছু দাবা খেলোয়াড় সরকারের কাছে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তালিবান সরকার সেই আবেদন মানতে নারাজ। খারিজ করে দিয়েছে আবেদন।