Tectonic Plates: আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সূর্য। আরও বেশি বিকিরিত হবে তাপ। সেই সঙ্গে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে পৃথিবীতে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বাড়বে। এটাই কি কারণ হবে মানব সভ্যতা ধ্বংসের ! কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?
Tectonic Plates Collision: পৃথিবী থেকে মানবসভ্যতা মুছে যাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই, তবে বিজ্ঞানীরা কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ ও সময়সীমা নিয়ে আলোচনা করেছেন: মহাদেশের সংঘর্ষে নতুন সুপারকন্টিনেন্ট (যেমন প্যাঞ্জিয়া আলটিমা) গঠন, যা চরম তাপমাত্রা (৪০-৭০°C) তৈরি করবে এবং মানবজাতির টিকে থাকা অসম্ভব করে তুলবে (আনুমানিক ২৫ কোটি বছর পর)। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক যুদ্ধ, মহাজাগতিক আঘাত (গ্রহাণু), মহামারী, এবং সূর্যের বিবর্তন (প্রায় ১ বিলিয়ন বছর পর) মানবসভ্যতা ধ্বংসের কারণ হতে পারে। মহাদেশের ধাক্কা সরাসরি কারণ না হলেও, এর ফলে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন মানবসভ্যতার জন্য বড় হুমকি।
সম্ভাব্য কারণ ও সময়সীমা-
মহাদেশের সংঘর্ষ ও চরম জলবায়ু (২৫ কোটি বছর পর): বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রায় ২৫ কোটি বছর পর সব মহাদেশ একত্রিত হয়ে একটি বিশাল মহাদেশ (সুপারকন্টিনেন্ট) তৈরি করবে। এর ফলে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ চরম গরম হয়ে উঠবে এবং তাপমাত্রা ৪০-৭০°C পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এত উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার কারণে মানুষের শরীর ঘামের মাধ্যমে নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারবে না, যা মানবজাতির বিলুপ্তির কারণ হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত ঝুঁকি (নিকট ভবিষ্যৎ): জলবায়ু পরিবর্তন, পারমাণবিক যুদ্ধ, বা মহামারী (যেমন প্রাকৃতিক মহামারী) মানবসভ্যতার জন্য তাৎক্ষণিক বা নিকট ভবিষ্যতে বড় হুমকি। বিল গেটসের মতে, আগামী কয়েক দশকের মধ্যে প্রাকৃতিক মহামারী আসার ঝুঁকি অনেক বেশি (৮০% এর বেশি), এবং কিছু ঝুঁকি ২১০০ সালের মধ্যে মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে (৫০-৬০%)।
মহাজাগতিক ঘটনা: একটি বড় গ্রহাণুর আঘাত বা কাছের কোনও সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে আসা গামা রশ্মি পৃথিবীর ওজোন স্তর ধ্বংস করে দিতে পারে, যা মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে যথেষ্ট।
সূর্যের বিবর্তন (১ বিলিয়ন বছর পর): প্রায় ১ বিলিয়ন বছর পর সূর্য আরও উজ্জ্বল হবে এবং পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন শেষ করে দেবে, যা জীবনের সমাপ্তি ঘটাবে।
মহাদেশের ধাক্কা কি কাল হবে মানবজাতির ধ্বংসের ? মহাদেশের সংঘর্ষ সরাসরি মানবসভ্যতা ধ্বংস করবে না, বরং এর ফলে সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন (অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা) মূল কারণ হবে। এই সুপারকন্টিনেন্ট গঠন প্রক্রিয়া কোটি কোটি বছর ধরে চলবে, যা মানবজাতিকে টিকে থাকতে এবং বিকল্প ব্যবস্থা (যেমন মহাকাশ উপনিবেশ) তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারে, যদি না অন্য কোনো বড় বিপর্যয় ঘটে। সংক্ষেপে, মানবসভ্যতার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জলবায়ু, প্রযুক্তি, এবং মহাজাগতিক ঘটনার ওপর, যেখানে মহাদেশের পুনর্বিন্যাস একটি দীর্ঘমেয়াদী ভূ-তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া যা চরম পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।