
Earthquake in Tibet: একই দিনে তিনবার ভূমিকম্পে (Tibet) কেঁপে উঠল পৃথিবীর ছাদ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, বৃহস্পতিবার তিব্বতে (Tibet) তিনটি ভূমিকম্প হয়েছে। এনসিএস অনুসারে, এই সিরিজের সর্বশেষ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.৩। এনসিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরতায় হওয়ায় এর আফটারশক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের শুরুতে তিব্বতে রিখটার স্কেলে ৩.৫ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ৪.০ মাত্রার তৃতীয় ভূমিকম্পটি হয়েছিল।
https://x.com/NCS_Earthquake/status/1900108459120746711
এই ধরনের অগভীর ভূমিকম্পগুলো পৃথিবীর পৃষ্ঠের কাছাকাছি হয়। তই বেশি শক্তি নির্গত করার কারণে গভীর ভূমিকম্পের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। কারণ এজতীয় কম্পনের আফটার শকের প্রবণতা থাকে। এর ফলে শক্তিশালী কম্পন হয় এবং কাঠামোগুলোর ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে গভীর ভূমিকম্পগুলো পৃষ্ঠে পৌঁছানোর সময় শক্তি হারায়। ভূ- tectonic প্লেটের সংঘর্ষের কারণে তিব্বতীয় মালভূমি তার ভূমিকম্প কার্যকলাপের জন্য পরিচিত।
আল জাজিরা উল্লেখ করেছে, তিব্বত ও নেপাল একটি প্রধান ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনের উপর অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেট ইউরেশীয় প্লেটের দিকে ধাক্কা দেয় এবং এর ফলে ভূমিকম্প একটি নিয়মিত ঘটনা। এই অঞ্চলটি ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় টেকটোনিক উত্থান ঘটে যা হিমালয়ের চূড়াগুলোর উচ্চতা পরিবর্তনে যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং ভূ-পদার্থবিদ মারিয়ানে কার্প্লাস আল জাজিরাকে বলেছেন, "ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্প-সহনশীল ভবন সম্পর্কে শিক্ষা এবং রেট্রোফিট ও স্থিতিস্থাপক কাঠামোর জন্য তহবিল শক্তিশালী ভূমিকম্পের সময় মানুষ ও ভবনকে রক্ষা করতে পারে।" ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট এল পাসোর ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কার্প্লাস আল জাজিরাকে বলেন, "পৃথিবীর সিস্টেম খুবই জটিল এবং আমরা ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিতে পারি না। তবে, তিব্বতে ভূমিকম্পের কারণগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে এবং ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট কম্পন ও প্রভাবগুলো আরও ভালোভাবে বুঝতে আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালনা করতে পারি।"
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।