ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে তৃতীয় ব্যক্তির মত নাক গলিয়েছিল ইয়েমেনের হাউথি বাহিনী। এবার সরাসরি হামলা চালাল বিশ্বের দুই তাবড় শক্তি।
অক্টোবর মাস থেকে শুরু হয়েছে ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের হামাস বাহিনীর লড়াই। হামাস বাহিনী ছাড়িয়ে সেই লড়াই এখন ইজরায়েল বনাম প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই যুদ্ধে পৃথিবীর কোন দেশ কার পক্ষে আছে, সেই হিসেবে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। এই কারণেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা। ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের যুদ্ধে তৃতীয় ব্যক্তির মত নাক গলিয়েছিল ইয়েমেনের হাউথি বাহিনী। এই কারণে, এবার সরাসরি ইয়েমেনে হামলা চালাল বিশ্বের দুই তাবড় শক্তি – ব্রিটেন এবং আমেরিকা।
-
শুক্রবার দিনের একেবারে শুরুতেই হামলা চালানো হয় ইয়েমেনের ‘জঙ্গি’ তকমা পাওয়া ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হাউথি বাহিনীর বিরুদ্ধে। লোহিত সাগরের তীরবর্তী সমগ্র অঞ্চল কেঁপে ওঠে অগুন্তি যুদ্ধবিমানের আওয়াজে ।
হামলার পরেই আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী।
-
ইজরায়েল এবং প্যালেস্টাইনের যুদ্ধের মাঝে সমুদ্রপথে ইজরায়েলের দিকে এগোনো সাহায্যকারী জাহাজগুলির পথ অবরুদ্ধ করছিল ইয়েমেনের ‘হাউথি’ বাহিনী। যার ফলে প্রভূত সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল ইজরায়েলকে। লোহিত সাগরের ওপর দিয়ে অন্যান্য দেশের জাহাজও চলাচল করে। ইয়েমেনের বাহিনীর আক্রমণে সব দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। সেই ক্ষতি আটকানোর জন্য শুক্রবার জল এবং বায়ু, উভয় পথেই হামলা চালানো হয় ইয়েমেনের ওপরে।
এই হামলার পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Rishi Sunak) জানিয়েছেন যে, এটা শুরুমাত্র একটা সামান্য এবং সমানুপাতিক আঘাত। বিশ্বে নৌচলাচল পরিষ্কার রাখার জন্য এবং বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ। অন্যদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) সরাসরি আক্রমণ করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আজ, আমার নির্দেশে, মার্কিন সামরিক বাহিনী ইংল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, বাহরিন, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে হাউথি বিদ্রোহীরা নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করতে ব্যবহার করা হয়েছে।”