'শব্দ চয়নে সংযত হতে হবে আরও', ট্রাম্পের সাবমেরিন পরামাণু হুঁশিয়ারির পরই মুখ খুলল ক্রেমলিন

Published : Aug 04, 2025, 06:27 PM IST

Russia America Conflict: নতুন করে ফের তেতে উঠছে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক? ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে তেমনটাই মিলছে ইঙ্গিত। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলো পুতিনের দেশও। কী বলছে? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি… 

PREV
16
ট্রাম্পের সাবমেরিন হুঁশিয়ারির পাল্টা প্রতিক্রিয়া রাশিয়ার

অতি সম্প্রতি রাশিয়ার কাছাকাছি সাবমেরিন পোঁতার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই হুঁশিয়ারি রাশিয়া যে মোটেও খাটো  চোখে দেখছে না সোমবার পাওয়া গেল সেই আভাস। মুখ খুললেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি জানান, আমেরিকার সাবমেরিন হুঁশিয়ারিকে মোটেও খাটো চোখে দেখা উচিত নয়। এই ধরনের পরমাণু বিষয়ক জিনিস নিয়ে মন্তব্যে সকলকে আরও সতর্ক থাকা  উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। 

26
হঠাৎ কেন আলোচনায় পারমাণবিক সাবমেরিন?

জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ট্রাম্প  বলেছিলেন যে, ‘’রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি না করে তাহলে রাশিয়ার খুব কাছাকাছি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করা হবে।'' সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের এই পোস্টের পরই পেসকভ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘’আমেরিকার পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো অবশ্যই যুদ্ধের দায়িত্বে রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করব না। বা বিতর্কে জড়াতে চাই না। তাই সবারই উচিত পারমাণবিক প্রসঙ্গে কথা বলার সময় আরও সতর্ক থাকা।'' 

36
ট্রাম্প মন্তব্যে মাথা ঘামাতে নারাজ রাশিয়া

যদিও এই বিষয়ে পেসকভ আরও জানিয়েছেন যে, ট্রাম্পের রাশিয়ার উপর কড়া নিষেধাজ্ঞার চাপানোর মতো হুঁশিয়ারিতে তারা মাথা ঘামাতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। কারণ, তিনি আরও বলেন, ‘’আমার মনে হয় না, আমরা কোননও উস্কানিমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি বা কোনও কিছুর প্ররোচণা দিচ্ছি। তবে যেকোনও সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আবেগ নিয়ন্ত্রণে রেখে তবেই মন্তব্য করা উচিত।'' যদিও রাশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মেদভেদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের বিতর্কে জড়ানো নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছে ক্রেমলিন। 

46
ট্রাম্পকে নিয়ে কী বলল ক্রেমলিন?

এই বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ আরও জানান যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি। তাই এক-এক দেশের রাষ্ট্রনেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা হতেই পারে। আমেরিকা এবং ইউরোপের কিছু দেশের মানুষজন আছেন যাঁদের মনোভাব ভীষণ কঠোর। তবে রাশিয়ায় যে পররাষ্ট্র নীতি সেদেশের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনই ঠিক করেন সে কথাও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি। 

56
হঠাৎ কেন রাশিয়ার উপর তেতে উঠল আমেরিকা?

সূত্রের খবর, ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক আগে ভালো থাকলেও বেশ কিছু ইস্যুতে সেই সম্পর্ক যে তলানিতে ঠেকেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এর মূল কারণ হল, গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ। দুই দেশের এই সঙ্ঘাত থামাতে বারবার রাশিয়াকে  বলা হলেও আমেরিকার কোনও কথাতেই কর্ণপাত করতে নারাজ পুতিন। আর তাতেই মনে করা হচ্ছে রাশিয়ার উপর বেজায় চটেছে  ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

66
পুতিনের হুমকিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পের?

সম্প্রতি রাশিয়া ইস্যুতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে মুখ খোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন যে, ‘’শব্দচয়ন হল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কখনও কখনও এর ফল চরম হতে পারে। তবে আশা করছি এইক্ষেত্রে তেমন পরিস্থিতি হবে না।'' আর এরপরই রাশিয়া হুঁশিয়ারি দেয় যে, রাশিয়া তার নাগরিকদের রক্ষা করবে। এরপরই তেতে উঠেছে দুই দেশের সম্পর্ক। 

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories