দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত যুদ্ধ। মার্কিন মধ্যস্থতায় হচ্ছে না কোনও কাজ। ফের মিলল তার প্রমাণ। কারণ, শনিবার গভীর রাতে রাশিয়ায় ড্রোন হামলা চালালো ইউক্রেন। যারফলে এখনও পর্যন্ত তিনজন রুশ নাগরিকের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে মূলত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও তেলের কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করে।
25
ইউক্রেনের হামলায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
এই বিষয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জেলেনস্কির দেশের ড্রোন হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পুতিনের দেশে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। যার মধ্যে, রাশিয়ার সামারা অঞ্চলে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি বাড়িতে আগুন লেগে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। এবং পেনজায় হামলার পর একজন মহিলা নিহত এবং আরও দুইজন আহত হয়েছেন। রোস্তভ অঞ্চলে একটি শিল্প কারখানায় ড্রোন হামলার ফলে আগুন লেগে একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
35
সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা
ইউক্রেনের আনম্যানড সিস্টেমস ফোর্সেস (USF) এবং SBU গোয়েন্দা সংস্থার মতে, রাশিয়ান ভূখণ্ডের গভীরে বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি এবং তেল কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে এই আঘাত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল মস্কো থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত রিয়াজান তেল শোধনাগার, যেখানে হামলার পর আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের কাছে অবস্থিত ভোরোনেজ অঞ্চলে আনানেফটেপ্রডুক্ট তেল সংরক্ষণাগারটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও, ইউক্রেন প্রিমোরস্কো-আখতারস্কের সামরিক বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়, যা ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলায় রাশিয়ার ব্যবহৃত ইরানি-নির্মিত শাহেদ ড্রোনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎক্ষেপণস্থল। আরেকটি হামলায় পেনজার ইলেকট্রোপ্রিবর কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যা রাশিয়ার সামরিক-শিল্প খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনকারী কারখানা বলে মনে করা হচ্ছে।
55
পাল্টা হামাল চালাল রাশিয়া
তবে ইউক্রেনের হামলা নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, তাদের বিমান-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় নয় ঘন্টার আক্রমণের সময় রাতারাতি ১১২টি ইউক্রেনীয় ড্রোনকে প্রতিহত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৪টি রোস্তভ অঞ্চলে ছিল। বাধা সত্ত্বেও, বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের হত্যার খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও রাশিয়া দোনেৎস্কের ওলেক্সান্দ্রো-ক্যালিনোভ গ্রামের নিয়ন্ত্রণ দাবি করেছে ইউক্রেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য মেলেনি।