ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি যাচ্ছেন আমেরিকা সফরে । ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পরে এটিই জ়েলেনস্কির প্রথম বিদেশ সফর তাই আকাশযাত্রার সময় রুশ যুদ্ধবিমানের হামলা এড়াতে যাত্রাপথে কড়া নজরদারি চালাবে নেটো।
ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ এখনও তুঙ্গে। এর মাঝেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি যাচ্ছেন আমেরিকা সফরে। প্রবল যুদ্ধের মাঝেই আচমকা এমন আমেরিকা পাড়ির কারণ কি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিন, টুইটারে মার্কিন মুলুকে নিজের কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তিনি লিখেছেন, 'ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা আরও বাড়াতে আমি আমেরিকার উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছি। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলব। আমি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আমেরিকার কংগ্রেসে বক্তৃতা দেব। এর পাশাপাশি, একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।'
তবে যেহেতু ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পরে এটিই জ়েলেনস্কির প্রথম বিদেশ সফর তাই আকাশযাত্রার সময় রুশ যুদ্ধবিমানের হামলা এড়াতে যাত্রাপথে কড়া নজরদারি চালাবে নেটো জোটের গুপ্তচর বিমান।
উল্লেখ্য, রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের গত ১১ মাসের সংঘর্ষে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দু’দেশের। বিশ্বজুড়ে বেড়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা।কিয়েভের আরজিতে সাড়া দিয়ে মানবিকতার খাতিরে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের বহু দেশ। অস্ত্র ও আর্থিকভাবে যুদ্ধবিধস্ত দেশটিকে সাহায্য করার কোথাও জানিয়েছে তারা। সেই তাগিদেই এই আমেরিকা সফর করছেন জেলেনস্কি।
পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, আমেরিকার বায়ুসেনার বোয়িং সি-৪০ বিমানে ওয়াশিংটন গিয়েছেন জ়েলেনস্কি। তাঁর উড়ানযাত্রার একাংশ ছিল কৃষ্ণসাগরের রুশ নিয়ন্ত্রিত জলপথের অদূরে। সেখানে নিয়মিত আনাগোনা রয়েছে রুশ নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজের। তাই আমেরিকার বিমানবাহিনীর এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বিমানকে। পোল্যান্ড, জার্মানি এবং উত্তর ইংল্যান্ডের আকাশসীমা পার হয়ে বুধবার রাতে আমেরিকায় পৌঁছয় জেলেনস্কির বিমান।