
আপনি যদি ভেবে থাকেন আমেরিকা বা ইউরোপের বিমানবন্দরই সবচেয়ে ব্যয়বহুল, তাহলে এবার চমকে উঠতে পারেন। ২০২৫ সালের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমানবন্দরগুলির তালিকা, যা মূলত দুটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে- ১. বিমানবন্দরের ফি ও টিকিট মূল্য সংক্রান্ত বিভাগ এবং ২. বিমানবন্দরে বিক্রি হওয়া খাবার ও সামগ্রীর দাম সংক্রান্ত বিভাগ।
এই তালিকার তথ্য দেখে অনেক যাত্রীই অবাক। কারণ, এক কলার দাম যেখানে প্রায় ৭ ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৫৬৫ টাকা, সেখানে এক বিয়ারের ক্যান কিনতে গেলে খরচ পড়ে ২০ ডলার, যা প্রায় ১,৭০০ টাকার সমান!
তুরস্কের ইস্তানবুল বিমানবন্দর সুসজ্জিত হলেও এখানে জিনিসপত্রের দাম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বা চার গুণ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও দামী বিমানবন্দরটি তুরস্কে অবস্থিত। বিশ্বের অন্যতম বড় ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দর হলেও, এখানে থাকা ও খাওয়ার খরচ অনেক যাত্রীর নাগালের বাইরে।
অধিকাংশ যাত্রীরা এই বিমানবন্দরে জিনিসপত্রের অত্যাধিক দামের জন্য প্রায়ই অভিযোগ জানান। অর্থনীতিবিদদের মতে, Closed market-এর সুযোগ নিচ্ছে বিমানবন্দর ব্যবসা, যেখানে বিকল্প নেই, ফলে দাম নির্ধারণ করা বিমানবন্দ সংস্থার হাতে।
বিমানবন্দরের ফি সংক্রান্ত বিভাগের কথা উঠলে তালিকার প্রথমেই ওঠে আসে আমেরিকার ওয়াশিংটন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর নাম। জানা গিয়েছে, এই বিমানবন্দরে মানুষ প্রতি গড় ভাড়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪০,২২৩ টাকা। এরপরেই ভাড়ার দিক থেকে দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ওরেঞ্জ কাউন্টির ওয়েন এয়ারপোর্ট। এই বিমানবন্দরে যাত্রীপিছু যেখানে গড় ভাড়া প্রায় ৩৬,৪১৭ টাকা। অন্যদিকে সান ফ্রান্সিসকো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এর নাম রয়েছে তৃতীয় স্থানে যেখানে গড় ভাড়া প্রায় ৩৬,১৫৫ টাকা। এখানে ব্যবসায়িক ভ্রমণ বা প্রিমিয়াম যাত্রীদের জন্য খরচ আরও বেশি হয়ে দাঁড়ায়।