আইপিএলে জয়ে ফিরল এমএস ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাল ২০ রানে। প্রথম পর্বে হারের বদলাও নিলেন এমএস ধোনি। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৬৭ রান করে এমএস ধোনির দল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে নির্দিষ্ট ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ডেভিড ওয়ার্নারের দল। সানরাইজার্সের ইনিংস শেষ হয় ১৪৭ রানে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। চমক দিয়ে এদিন ফাফ ডুপ্লেসির সঙ্গে ওপেন করতে আসেন স্যাম কুরান। তৃতীয় ওভারেই দলের ১০ রানের মাথায় খাতা না খুলেই আউট হয়ে যান ফাফ ডুপ্লেসি। সন্দীপ শর্মার বলে আউট হন তিনি। অপরদিকে, ওপেনিংয়ে নেমে আক্রমণাত্বক ব্যাট শুরু করেন স্যাম কুরান। পঞ্চম ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে ৩১ রান করে আউট হন স্যাম কুরান। এরপর ক্রিজে আসেন অম্বাতি রায়ডু। বেশি ঝুঁকি না নিয়ে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন রায়ডু ও ওয়াটসন জুটি। ১০ ওভার শেষে ধোনির দলের স্কোর দাঁড়ায় ৬৯ রানে ২ উইকেট। এর মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন রায়ডু-ওয়াটসন জুটি। ১৪ তম ওভারে চেন্নাই সুপার কিংস দল শতরান পূরণ করে। ১৫ তম ওভারে রাশিদ খানকে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকান ওয়াটশন ও রায়ডু। ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১১৬ রানে ২ উইকেট।
শেষ ৫ ওভারে রানের গতিবেগ বাড়াতে গিয়ে ১৬ তম ওভারেই আউট হন অম্বাতি রায়ডু। খালিল আহমেদের বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি। ১৬ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর হয় ১১৯ রানে ৩ উইকেট। ১৭ তম ওভারে চতুর্থ উইকেট পড়ে সিএসকের। নটরাজনের বলে ৪২ রান করে আউট হন শেন ওয়াটসন। পরপর দুজন সেট ব্যাটসম্যান আউট হওয়ায় চাপ বাড়ে চেন্নাইয়ের উপর। ক্রিজে আসেন রবীন্দ্র জাদেজা। ১৭ তম ওভারে পরপর দুটি চারও মারেন ধোনি। ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১২৯ রানে ৪ উইকেট। ১৮ তম ওভারে আসে ৯ রান। ১৯ তম ওভারে একটি বিশাল ছক্কা মারার পর আউট হন ধোনি। নটরাজনের বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। শেষ ওভারের প্রথম বলেই খালিল আহমেদের বলে আউট হন ব্রাভো। ২০ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ১৬৭ রান। শেষে ১০ বলে ২৫ রানের ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের টার্গেট ১৬৮ রান।
১৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই পরপর দুটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। চতুর্থ ওভারে স্যাং কুরানে বলে দলের ২৩ রানের মাথায় আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ৯ রান করেন তিনি। একই ওভারে আরও একটি উইকেট পড়ে সানরাইজার্সের। ৪ রান করে আউট হন মণীশ পাণ্ডে। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন জনি বেয়ারস্টো ও কেন উইলিয়ামসন। সিএসকের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে উইকেট বাঁচিয়ে ধীর গতিতে রান করেন দুই ব্য়াটসম্যান। কিন্তু দশম ওভারে ভাঙে তাদের পার্টনারশিপ। রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান জনি বেয়ারস্টো। ২৩ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৬০ রানে ৩ উইকেট। পএরপর উইকেটে আসেন প্রিয়ম গর্গ। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। ১২ ওভার শেষে সিএসকের স্কোর দাঁড়ায় ৭৬ রানে ৩ উইকেট। ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ এগিয়ে নিয়ে যান তারা। ১৪ ওভার শেষে সানরাইজার্সের স্কোর দাঁড়ায় ৯৩ রানে ৩ উইকেট। ১৫ তম ওভারে আউট হন করণ শর্মার বলে ১৬ রান করে আউট হন প্রিয়ম গর্গ। ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১০১ রানে ৪ উইকেট।
প্রিয়ম গর্গ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন বিজয় শংকর। ১৬ তম ওভারে আসে ৮ রান। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ১৭ তম ওভারে পঞ্চম উইকেট পড়ে সানরাইজার্সের। ব্রাভোর বলে ১২ রান করে আউট হন বিজয় শংকর। এরপর ক্রিজে আসেন রাশিদ খান। ১৭ ওভার শেষে হায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১২২ রানে ৫ উইকেট। একইসঙ্গে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন কেন উইলিয়ামসন। হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু কেন কিউই ইধিনায়ক। কিন্তু রানের চাপে করণ শর্মার বলে ১৮ তম ওভারে আউট হন উইলিয়ামসন। ৩৯ বলে ৫৭ রান করে আউট হন তিনি। একই ওভারে রাশিদ খান একটি ৬ ও একটি চার মারেন। শেষ বলে আরও একটি চার মারেন শাহবাজ নাদিম। ১৮ ওভার শেষে হায়দরাবাদের স্কোর দাঁড়ায় ১৪১ রানে ৬ উইকেট। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৭ রান। ১৯ তম ওভারে দুরন্ত বোলিং করেন শার্দুল ঠাকুর। ৫ রান দেওয়ার পাশাপাশি রাশিদ খানকে আউট করেন তিনি। শেষ ওভারে সানরাইজার্সের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। শেষ ওভারেও দুরন্ত বোলিং করেন ডোয়েইন ব্রাভো। মাত্র ১ রান দেওয়ার পাশাপাশি আউট করেন শাহবাজ নাদিমকে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হয় ৮ উইকেটে ১৪৭ রানে। ২০ রানে ম্য়াচ জিতে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস।