আইপিএলএলের গ্রুপ টেবিলের শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে বিরাট কোহলির আরসিবিকে ৫৯ রানে হারিয়ে দিল শ্রেয়স আইয়রের দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথমে ব্য়াট করে ২০ ওভরে ১৯৬ রান করে দিল্লি। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস। ১৯৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। ১৩৭ রানে শেষ হয় বিরাট কোহলির দলের ইনিংস। এদিন টসে জিতে বোলিং সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্য়াট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধওয়ান ও পৃথ্বী শ। আক্রমণাত্বক ইনিংস খেলেন পৃথ্বী। প্রথমে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লের শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬৩। কিন্তু সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে দিল্লির। মহম্মদ সিরাজের বলে আক্রমণাত্বক শট খেলতে গিয়ে আউট হন পৃথ্বী শ। ২৩ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। অপরদিকে দ্বিতীয় উইকেটের জন্য বেশি প্রতীক্ষা করতে হয়নি। ১০ ওভারে উদানার বলে আউট হন ধওয়ান। ৩২ রান করেন তিনি। ১০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ৮৫ রানে ২ উইকেট। ১২ তম ওভারে ফের বড় হিট করতে গিয়ে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির। আইপিএল ২০২০-র প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট পান মঈন আলি। ১১ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়র। ১২ ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৯৪ রানে ৩ উইকেট।
এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন মার্কাস স্টয়নিস ও ঋষভ পন্থ। ১৪ তম ওভারে মঈন আলির ওভারে আসে ১৫ রান। একটি ছয় ও একটি চার মারেন স্টয়নিস। ১৫ তম ওভারে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেন স্টয়নিস। নবদীপ সাইনির ওভারে আসে ১৭ রান। ১৫ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ১৩৪ রানে ৩ উইকেট। ১৫ ওভার পর রানের গতিবেগ আরও বাড়ায়। বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলীয় তারকা মার্কাস স্টয়নিস। প্রতি ওভারে কার্যত বাউন্ডারি , ওভার বাউন্ডারির বন্যা বইয়ে দেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গত দেন ঋষভ পন্থ। বিশেষ করে নবদীপ সাইনিকে কার্যত তুলোধনা করেন স্টয়নিস। চতুর্থ উইকেটে ৮৯ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপ করার পর ১৯ তম ওভারে মহম্মদ শিরাজের বলে আউট হন ঋষভ পন্থ। তিনি করেন ২৫ বলে ৩৭ রান। ১৯ ওভারের শেষ বললে চার মেরে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্টয়নিস। মাত্র ২৪ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। ১৯ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১০৪। উদানার শেষ ওভারে আসে ১২ রান। ইনিংস শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর ১৯৬। ৫৩ রানে নট আউট থাকেন স্টয়নিস।
১৯৭ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই লাগাতার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তৃতীয় ওভারে ২০ রানে প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। মাত্র ৪ রান করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে আউট হন দেবদূত পাড়িকল। দ্বিতীয় উইকেট পড়ে আরসিবির ২৭ রানে। অ্যাক্সর প্যাটেলের বলে ১৩ রান করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এদিন ব্য়াট হাতে নিরাশ করেন এবি ডিভিলিয়ার্সও। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হন ডিভিলিয়ার্স। মাত্র ৯ রান করে নর্ৎজের বলে আউট হন তিনি। ৬ ওভার শেষে ব্যাঙ্গালোরের স্কোর দাঁড়ায় ৬ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট। এরপর ইনিংসের রাশ কিছুটা ধরার চেষ্টা করেন মঈন আলি ও আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা। বেশ কিছু কোয়ালিটি শটও খেলেন বিরাট কোহলি। যোগ্য সঙ্গত দেন মঈন আলি। ১০ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ১০ ওভারে ৬৩ রানে ৩ উইকেট।
১২ তম ওভারে ভাঙে পার্টনারশিপ। অ্যাক্সর প্য়াটেলের শিকার হন মঈন আলি। ১১ রান করেন তিনি। মঈন আলি আউট হওয়ার পর চাপ আরও বাড়ে কোহলির উপর। ১৪ তম ওভারে রাবাডার বলে আউট হন আরসিবি অধিনায়ক। কোহলি করেন ৪৩ রান। ১৫ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১০৫ রান। ১৬ তম ওভারে রাবাডার বলে আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। ষষ্ঠ উইকেট পড়ে আরসিবির। ওয়াশিংটন সুন্দর করেন ১৭ রান। ওভার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১১৫ রানে ৬ উইকেট। ১৮ তম ওভারের শেষে আরও একটি পড়ে আরসিবির। রাবাডার বলে আউট হন শিবম দুবে। একই ওভারে রাবাডার বলে আউট উদানা। ১৮ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ১২১ রানে ৮ উইকেট। ১৯ তম ওভারে নর্ৎজের বলে আউট হন মহম্মদ শিরাজ। শেষে ২০ ওভারে ১৩৭ রানে ৯ উইকেটে শেষ হয় আরসিবির ইনিংস। ৫৯ রানে ম্য়াচ জিতে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্য়াচ জয়ের সুবাদে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌছে গেল শ্রেয়স আইয়রের দল।